পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
টানা বর্ষণের প্রভাবে চট্টগ্রামের বাজারে সবধরনের পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষেতের শাক-সবজি বিনষ্ট হয়েছে। আবার সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ায় সরবরাহও কমে গেছে। এমন অজুহাতে সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে।
কোন কোন সবজির দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরা যাচ্ছে না, এমন অজুহাতে বাড়ছে মাছের দাম। আবার আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহন বিঘিœত হওয়া এবং নতুন বাজেট কার্যকর হওয়ায় ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। দাম বৃদ্ধির প্রবণতায় বিপাকে সাধারণ মানুষ। স্বল্প আয়ের লোকজন সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুয়েকটি ছাড়া প্রায় সব ধরণের সবজির দাম বেড়েছে। কাঁকরোল ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, দেশি আলু ৩৫-৪০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, টমেটো ৬০-৭০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, পটল ৩০-৪০ টাকা, ঝিঙে ৪০-৫০ টাকা, তিতকরলা ৫০-৬০ টাকা, ছোট কচু ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, শষা ৫০ টাকা, ক্ষিরা ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মাছের দামও চড়া। এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫০০-১৮০০ টাকা। তবে ছোট ইলিশ মিলছে ১২০০-১৪০০ টাকায়। তেলাপিয়া ১৩০-১৮০ টাকা, শিং ৪০০-৪৫০ টাকা, কৈ ৫০০-৫৫০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা, রুপচাঁদা ৫০০-৮৫০ টাকা, রুই ২৭০-৩০০ টাকা, কাতলা ২৫০-৩০০ টাকা, সুরমা ৪৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ টাকা, চিংড়ি আকারভেদে ৬০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হাড়সহ প্রতি কেজি গরু গোশত ৬০০ টাকা, হাড়ছাড়া প্রতিকেজি ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগি ১২০-১৩০ টাকা, সোনালিকা মুরগি ২২০-২৩০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৩০-৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম বেড়েছে ফার্মের ডিমের। প্রতি ডজন ডিমের দাম রাখা হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা।
সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় সব ধরণের ভোগ্যপণ্যের দাম। রসুন, বোতলজাত সয়াবিন তেল, গুঁড়ো দুধ ও চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫-১০ টাকা বেশি দামে। চায়না রসুন ১০ টাকা বেড়ে কেজি ১৫০-১৬০ টাকা, দেশি রসুন ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম আরও একদফা বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা প্রতিকেজি ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দ্বিগুণ বেড়েছে গরম মসলার দামও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।