পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টঙ্গীর বিসিক ফকির মার্কেট এলাকায় স্কুলছাত্র শুভ আহম্মেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ৪ জনকে আটক করেছে র্যাব-১ এর সদস্যরা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে র্যাব এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আটককৃতরা হলো, মামলার প্রধান আসামি মৃদুল হাসান পাপ্পু খান (১৭), সাব্বির আহমেদ (১৬), রাব্বু হোসেন রিয়াদ (১৬) ও নূর মোহাম্মদ রনি (১৬)। এরা সবাই ফিউচার ম্যাক স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিহত স্কুল ছাত্র শুভ আহম্মেদ টঙ্গীর ফকির মার্কেট এলাকার রাজু মিয়ার ছেলে। শুভ ওই এলাকায় ফিউচার ম্যাক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. সারোয়ার-বিন-কাশেম জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার আগের দিন তারা শিক্ষা সফরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় গ্রন্থগার ও জাতীয় যাদুঘরে যায়। শিক্ষা সফর শেষে ফেরার পথে পাপ্পু ও তার বান্ধবী একই সিটে বসলে শুভ মুঠোফোনে তাদের ছবি তুলে এবং অন্য সবাইকে দেখিয়ে ঠাট্টা করে। আকষ্মিক ছবি তোলাতে পাপ্পু ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তাদের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে পাপ্পু, সাব্বির, রাব্বু ও রনি তাদের গ্রুপের সদস্যকে নিয়ে ঠাট্টা অপমানের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে এবং পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক রাত ১টার পর কৌশলে নির্জন স্থানে ডেকে নেয়। ভিকটিমকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে তাকে মারধর করার সময় সাব্বির ও রাব্বু’র কাছে থাকা সুইস গিয়ার চাকু দিয়ে ভিকটিমের বুকে ও পিঠে আঘাত করে এবং রনি সাব্বিরের নিকট হতে চাকু নিয়ে ভিকটিমের মাথায় আঘাত করে। এ সময় ভিকটিম দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে পাপ্পু তাকে পিছন থেকে ধাওয়া করে পিঠে আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত রবিবার দিনগত রাত ৯টার দিকে স্কুলছাত্র শুভ আহম্মেদ তার মাথার চুল কাটার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। পরে টঙ্গীর বিসিক ফকির মার্কেট এলাকায় শুভ আহম্মেদকে আসামিরা কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা রাজু আহম্মেদ বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় মৃদুল হাসান পাপ্পু এবং অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার পর থেকে র্যাব-১ এর সদস্যরা গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় প্রধান আসামি মৃদুল হাসান পাপ্পু, সাব্বির আহমেদ, রাব্বু হোসেন রিয়াদ ও নূর মোহাম্মদ রনিকে আটক করে। এছাড়া হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি সুইস গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।