পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী দুঃশাসনের কারণে জনগণ তাদের ঘৃণা করে। এই ঘৃণার প্রতিশোধ নিতেই সরকার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জনগণের ওপর জুলুম চালাচ্ছে। দেশের সম্পদ লুট এবং জনগণের রক্ত চুষতে একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যাচ্ছে এই সরকার।
গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
রহুল কবির রিজভী বলেন, অবৈধ অর্থ উপার্জন করে সরকারের লোকজন ‘আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ’ হয়ে যাচ্ছে। তাদের উপার্জন আরো বাড়াতে এই অনৈতিক সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার। বর্তমান মধ্যরাতের ভোটের সরকার জনগণের ভোটে বিশ্বাসী না হওয়ার কারণে তারা জনগণ নয়, বরং নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের নীতিতেই বিশ্বাস করে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে ভোক্তাপর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি বন্ধ করার জন্য তিনি দাবি জানান। রিজভী বলেন, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে জনগণের আন্দোলন ও ক্ষোভে-বিক্ষোভে বিএনপি শামিল হতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, যুগে যুগে স্বৈরাচারী শাসকদের জুলুমের শাসনকে ডিঙ্গিয়ে সেরা স্বৈরশাসকের ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন শেখ হাসিনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসন যন্ত্র ও দলীয় সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশে ভয়াবহ নব্য বাকশালী দুঃশাসন জারি রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের জনগণ যাতে সরকারের জুলুমের শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে না পারে, সেজন্য তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারান্তরীণ করা হয়েছে। শাসকগোষ্ঠী জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে মাটিচাপা দিয়ে বিএনপিসহ সব বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে একদলীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু জনগণ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর লালিত অলিক-অবাস্তব স্বপ্ন কোনো দিনই বাস্তবায়িত হতে দেবে না।
এর আগে সকাল ১০টায় মহিলা দলের নেতাকর্মীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দল সভানেত্রী রাজিয়া আলিম, উত্তরের সভানেত্রী পেয়ারা মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক আমেনা বেগম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিনা শাহীন, মিলি জাকারিয়া, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মিনা বেগম মিনি, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক জেসমিন জাহান, সহ-দপ্তর সম্পাদক গুলশান আরা মিতা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।