পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার শাখাটিয়া ব্রিজ এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত সাত ডাকাত গ্রেফতার ও তাদের জেল হাজতে পাঠানোর ঘটনাটি কি পুলিশের সাজানো নাটক? পাশাপাশি ডাকাত দলের গ্রেফতার ও তাদের কোর্টে চালানের বর্ণনা কি ফেক স্টোরি?-এমন প্রশ্নে তোলপাড় চলছে বগুড়ায়!
প্রশ্ন উঠেছে শাজাহানপুর থানা পুলিশের কথিত ওই ডাকাত সদস্যদের পরিবারের সংবাদ সম্মেলনের কারণে। সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি করেছেন, গত রোববার রাতে শাজাহানপুর থানা পুলিশ কথিত ওই ডাকাত দলকে গ্রেফতার করে পাশর্^বর্তী ধুনট উপজেলা থেকে। তার হলেন ধুনট উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা যথাক্রমে মোমিন শাহ (২৫), মশিউর রহমান মাসুম (৩৮), দেলোয়ার হোসেন (২৫), শফিকুল ইসলাম (২৮), মশিউর রহমান (৪২), শহিদুল ইসলাম (৩৪) ও সিএনজি অটো রিকশাচালক রজব আলী (৪৪)।
ঘটনাটি সম্পর্কে গত মঙ্গলবার বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গ্রেফতারকৃত মশিউর রহমান মাসুমের স্ত্রী শাকিলা খাতুন বলেন, তার স্বামীসহ ৭ জনের গ্রেফতার আসলে পুলিশের সাজানো নাটক। গত ৭ জুলাই রাতে চারজন পোশাকধারী পুলিশ ও বোরকা পরিহিত একজন এবং মুখ বাঁধা ৫-৭ জন ধুনটের বিলচাপড়ি ও রামনগর গ্রামে গ্রেফতারকৃতদের বাড়ি ও ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। তারা ঘুমন্ত অবস্থায় সাতজনকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা পেয়ে পুলিশ বাড়ির নারীদের সাথে ধস্তাধস্তি, গালিগালি ও অশালীন আচরণ করে। অনেকের বাড়ি থেকে জোরপূর্বক মোবাইল ফোনও নিয়ে আসে। ঘটনার পরপরই এ ব্যাপারে ধুনট থানার ওসিকে ফোন দিলে তিনি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান।
পরে ধুনট থানায় এসে খোঁজ নিয়েও গ্রেফতারকৃতদের স্বজনরা জানতে পারেন ওই থানার পুলিশ সদস্যরা গ্রেফতার অভিযানে ছিল না। ফলে সবার মনেই গুম-খুনের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে।
পরদিন সকালে পত্রিকা পড়ে তারা জানতে পারেন, ওই সাতজনকে শাজাহানপুর থানা পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। সেই সাথে তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা দেয়া হয়েছে। ধুনট থানা পুলিশকে না জানিয়ে শাজাহানপুর থানা পুলিশ বাড়ির দরজা ভেঙে, ত্রাস সৃষ্টি করে এমন কাজ কেন করলো সংবাদ সম্মেরনে সেই প্রশ্ন করা হয়েছে। একই সাথে তারা সাজানো ডাকাতি মামলা, নারীদের সাথে অশালীন ব্যবহার এবং পুলিশের সাথে মুখ বাঁধা বোরকাপরা লোকজনের তান্ডবের তদন্ত ও বিচার চান তারা।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, শুনেছি শাজাহানপুর থানা পুলিশ তার থানা এলাকার বিলচাপড়ি গ্রাম থেকে সাত ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গেছে। তবে শাজাহানপুর থানা পুলিশ তাকে এ বিষয়ে অবহিত করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারকৃত মশিউর রহমানের বড় ভাই প্রভাষক আনিছুর রহমান, দেলোয়ারের স্ত্রী সালমা আকতার, শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মফেলা, রজব আলীর স্ত্রী ঝলকি খাতুন ও গ্রামবাসী আবু আলম ও সবুজ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিতদের অনেকেই মৌখিক অভিযোগে বলেন, পুলিশ কারো টাকা খেয়ে এই ‘গ্রেফতার ও ডাকাতির ফেক স্টোরি’ তৈরি করেছে।
ঘটনা সম্পর্কে শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিন অবশ্য দৃঢ়তার সাথেই বলেছেন, সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে ডাকাতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের এজাহারের বর্ণনা ফেক নয়, সেটা পুরোপুরিই সত্য ঘটনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।