পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমরা চাই আর কোনো সায়মার বাবা-মায়ের বুক যাতে খালি না হয়। অপরাধীরা সায়মাদের মারার আগে যেন দশবার ভাবে। এ নির্মম হত্যাকান্ড জড়িত ঘাতকের দ্রুত শাস্তি কার্যকর হউক, এটা দেখতে চাই। গতকাল নিজ বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি জানান ধর্ষনের পর হত্যাকান্ডে শিকার ৭বছরের শিশু সামিয়া আফরিন সায়মার বাবা আবদুস সালাম ও মা সানজিদা আক্তার। রাজধানীর ওয়ারীতে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার সিলভারডেল স্কুলের নার্সারির ছাত্রী আফরিন সায়মার বাসায় গিয়ে দেখা যায়, সায়মার মা সানজিদা আক্তার ও বাবা আব্দুস সালাম তাদের মেয়ের ছবি বুকে নিয়ে কাঁদছেন। তাদের কান্না দেখে আশপাশের অনেকেই কান্না থামাতে পারছেন না।
সানজিদা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার সোনা মা। সে আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝত না। সবসময় আমার পাশেই থাকত। আমার বুকে এসে বলত, মা তুমি কী করো? আমাকে একটু আদর করে দাও। কোথাও থেকে আসলে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরত। আজ সে নেই। শূন্য আমাদের ঘর। কে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলবে, মা আমাকে আদর করো। এখন তার ছবি আমাদের স্মৃতি। কী অপরাধ ছিল আমার সোনা মায়ের। তাকে কেন ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হলো? আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন, আমার মেয়ের হত্যাকারীর যেন দূত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। আর যেন কোনো মায়ের বুক খালি হতে না হয়।
সামিয়ার বাবা আবদুস সালাম বলেন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করে আসামি দ্রুত বিচার কার্যকর করা হউক। দ্রুত এ শাস্তি কার্যকর হয়েছে তা তিনি দেখতে চান।
তিনি বলেন, আমার বড় মেয়ে স্কুল-কলেজ শেষ করে আইন বিষয়ে পড়ছে। ও যখন বাইরে যায় তখন ভয় লাগে, কখন কী হয় কে জানে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সামিয়ার বয়স লেখা হচ্ছে ৭ বছর, কিন্তু তার বয়স ছিল ৬ বছর।
আবদুস সালাম জানান, মাত্র চার মাস আগে ওয়ারীতে নিজের এ ফ্ল্যাটে আসেন তারা। তারা ভবনের ষষ্ঠ তলায় থাকেন। আর সামিয়াকে যিনি ধর্ষণ করেন তিনি অষ্টম তলার ফ্ল্যাটমালিকের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। সামিয়ার লাশ পাওয়া যায় নবম তলার নির্মাণাধীন ফ্ল্যাটের রান্না ঘরে সিঙ্কের নিচে। আবদুস সালাম ও সানজিদা আক্তার দম্পতির পুরো বাসায় সামিয়ার স্মৃতি।
সানজিদা আক্তার বললেন, মেয়েটি খুব চঞ্চল ছিল। সবার সঙ্গে একটু সময়েই খুব মিশে যেত। কখন কার সঙ্গে কোন দিকে চলে যায়, তা চিন্তা করতাম। স্কুলে দিয়েও বসে থাকতাম। সেই দিন ও যখন আটতলায় খেলতে যেতে চায়, না করিনি। এর আগেও ওইখানে সে খেলতে গেছে। এখন মনে হয় ক্যান মেয়েটারে যেতে দিলাম। মেয়ে গেলেও তার পিছু পিছু কেন গেলাম না। ওকে যখন নির্যাতন করে শ্বাসরোধ করে মারা হলো, তখন আমি ক্যান কিছু বুঝলাম না? আমার মেয়েকে বাঁচাতে পারি নাই, আমার মেয়ে কি আমাকে ক্ষমা করবে?
উল্লেখ্য, গত ৫ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ওয়ারীর বনগ্রামে ধর্ষনের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয় শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে। এ নির্মম ও নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ঘাতক হারুন অর রশীদকে গ্রেফতার করে। পরে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূল জবানবন্দী দেয়। জবানবন্দী রেকর্ড করার পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে হারুন কারাগারে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।