পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিব বর্ষ উদযাপনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের জন্য ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই সর্বোত্তম স্থান।
গতকাল বুধবার বিকাল তিন টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুজিব বর্ষ উদযাপন এর উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের স্থান নির্ধারণের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত সভায় ও উদ্যান পরিদর্শন কালে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, এখানেই জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়। বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও বাংলাদেশের অভূদয়ের পিছনের সবচেয়ে প্রেরণাদায়ী ৭মার্চের ভাষণটিও তিনি এই উদ্যানেই প্রদান করেছিলেন। আবার আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসের প্রধান ঘটনা ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানটিও ঐতিহাসিক এই উদ্যান। দীর্ঘকাল পাকিস্তানের কারাগারে আটক থাকার পর এই উদ্যানেই স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা এক আবেক মথিত স্বদেশ ১০ জানুয়ারি প্রত্যাবর্তন দিবসে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেছিলেন। এই উদ্যানেই ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী প্রিয়দর্শিনী ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় বাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাঙালি, বাংলাদেশ ও জাতির পিতা সকলের কাছেই এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই সবচেয়ে ইতিহাস ঘনিষ্ঠ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের স্থান নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন, এলক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটির সভাপতি ও জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরাধিকার সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম জননেত্রী শেখ হাসিনা। আজকের সভার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাম প্রস্তাব করা হবে। বিকল্প হিসেবে মহান জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা এবং আবহাওয়া বৈরী হলে তৃতীয় বিকল্প হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বা অন্য কোন উপযুক্ত স্থানের নাম প্রস্তাব করা হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান ন‚র এমপি, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ এমপি, বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে গঠিত বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম আরিফুর রহমান, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লাহ খন্দকারসহ বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে গঠিত জাতীয় ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।