পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে দেড় বছর পার করলেও সিট না পেয়ে আন্দোলনে নেমেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীরা।
মঙ্গলবার সিটের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে হলটির ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। এতে ৪৭ ব্যাচের প্রায় ৭০ জন ছাত্রী অংশ নিয়েছেন।
মানববন্ধনে আইন ও বিচার বিভাগ ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আফসিন সুলতানা এ্যামি বলেন, ‘আমাদেরকে বারবার মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, ঈদের পর সিট দেওয়া হবে, ছুটির পরে কয়েকজন করে সিট দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমাদের একজনও সিট পায়নি। আমরা প্রভোস্ট ও ভিসি বরাবর আবেদন দিয়েছিলাম কিন্তু কোন জবাব পাইনি। যে কারণে আমরা মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছি। আর যতক্ষণ পর্যন্ত প্রভোস্ট এসে লিখিত না দেবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাচ্ছি না।’
নৃবিজ্ঞান বিভাগ ৪৭ ব্যাচের খাদিজাতুল কোবরা সেপু বলেন, ‘আমরা আমাদের হলে একটি সিট চাই। আমরা প্রায় ১৭ মাস ধরে হলের গণরুমে আছি। যেখানে আমাদের অন্যান্য হলের বন্ধু-বান্ধব প্রায় সকলেই সিট পেয়ে গেছে। একটি ছোট গণরুমে ১১৪ জন একসাথে থাকা আর সম্ভব হচ্ছে না।’
আইন ও বিচার বিভাগ ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাইম আনিকা বলেন, ‘হলে সিট সংকটের জন্য পুরোপুরি প্রশাসন দায়ী। কারণ, তারা দেখেনি আদৌ এই হলে সিট খালি আছে কি-না। তারা না দেখেই কেন হলে এলট দিলো? শেখ হাসিনা হলে ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রুম পাওয়া শুরু করেছে। বেগম খালেদা জিয়া হলে উঠার ৬ মাসের মধ্যে ৪৮ রুম পেয়ে গেছে। তাহলে কেন আমাদের এই দিন দেখতে হচ্ছে। আমাদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে এবং রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছি।’
এদিকে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্টের সাথে কথা বলতে চাইলে প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান দেড়ঘন্টা পরে এসে সকলকে নিয়ে হলের মধ্যে আলোচনা করতে চাইলে বঙ্গমাতা শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখান করে। এবং হলে সিট বরাদ্দের ব্যাপারে লিখিত আশ্বাসের জোর দাবি জানায়।
এসময় ছাত্রীরা তার কাছে ৬২৮ সিটের বিপরীতে ৯৯০ জনের এলোট কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,“ হল এলটের সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না, তবে এটা আবাসন সমস্যার কারনেই দেওয়া হয়েছে। তোমাদের সিটের ব্যাপারে আমরা খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নিব।”
পরবর্তীতে ছাত্রীদের অব্যাহত দাবির মুখে হল প্রভোস্ট এক মাসের মধ্যে আবাসন সমস্যার সমাধান করবেন বলে লিখিত দিতে বাধ্য হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।