পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিজের পেটে নিজেই গুলি চালিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের পুত্রবধূ মেরিনা শোয়েব। বর্তমানে তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে। গত রোববার দিবাগত রাতে ধানমন্ডি ৯/এ-এর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের বরাত দিয়ে ধানমন্ডি থানার ওসি (তদন্ত) মো. পারভেজ ইসলাম জানিয়েছেন, ২ বছর আগে ফিরোজ রশিদের ছেলে কাজী শোয়েব রশিদের সঙ্গে মেরিনার ডিভোর্স হয়ে যায়। কিন্তু নিজের বাবার বাড়িতেও ঠাই না হওয়ায় তিনি ওই বাড়িতেই ফিরে এসে মেয়ের সঙ্গে থাকতেন। ২০১৭ সালে ফিরোজ রশিদের ছেলের সঙ্গে মেরিনার ডিভোর্স হয়। মেরিনা উচ্ছৃংখল জীবন-যাপন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন , নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনাও হতো না। পরিবার তার এ ধরনের জীবন-যাপন মেনে নিতে না পারায় মেরিনা নিজেই এ ডিভোর্স দেন। ডিভোর্সের পর তিনি নিজের বাবার বাড়ি চলে যান। কিন্তু তাকে তার বাবাও জায়গা দেয়নি। পরে উপায় না পেয়ে আবার ফিরে আসেন। তার অনুনয়-বিনয়ের কারণে ওই বাড়িতে থাকার সুযোগ দেয়া হয়। তিনি তার ২০ বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে এককক্ষে থাকতেন। একই বাড়িতে থাকলেও শোয়েব রশিদের সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ ছিলো না।
মেরিনার বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা পারভেজ জানান, রাতে বাসায় কেউ ছিলো না। ওই সময় শোয়েব রশিদের ঘরের আলমারি থেকে পিস্তল বের করে তিনি নিজেই নিজের পেটে গুলি চালান। পরে বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
ল্যাবএইড হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার সাইফুর রহমান লেনিন বলেন, গত রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমাদের এখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মেরিনাকে আনা হয়। এরপর চিকিৎসকেরা তার অস্ত্রোপচার করেন। এরপর থেকে তাকে হাসপাতালের আইসিইউয়ে রয়েছেন। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত-এমনটা বলা যাচ্ছে না। এদিকে থানা পুলিশের অন্য একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মেরিনা শোয়েব গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় নিশ্চয় বাসায় কেউ ছিলেন। কেননা মেরিনার শরীরে গুলি সামনে থেকে নয়, পেছন থেকে লেগেছে। তিনি নিজে গুলি করলে গুলি পেছন থেকে লাগার কথা না। নিশ্চয় এখানে কোনো রহস্য আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।