পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব এবং নেতানেত্রীদের সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত যে অপরিহার্য সেটার প্রতি গুরুত্বারোপ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ক্ষমতায় থেকে নেতৃত্বে ভুল করলে তার খেসারত দেশের জনগণকে দিতে হয়। ২০০৪-০৫ সালে মিয়ানমারের গ্যাস নিতে ভারত, চীন ও জাপান বিনিয়োগ করেছিল। সেই গ্যাস বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পাইপলাইন বসিয়ে ভারত নিতে চেয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া সেটা হতে দেয়নি। আমি হলে মিয়ানমার থেকে দেশের ভিতর দিয়ে ভারতকে গ্যাস নিতে তো দিতাম-ই, আমার ভাগটাও রেখে দিতাম। আসলে নেতৃত্বের ভুল হলে এর খেসারত দেশের জনগণকে দিতে হয়। চীন সফর নিয়ে গতকাল সোমবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশকে বাংলাদেশের ভূখন্ডে যুক্ত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এক কংগ্রেসম্যানের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরনের কথা গর্হিত ও অন্যায়। আমরা কারও ভূখন্ড চাই না। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীন আবারও মিয়ানমারে মন্ত্রী পাঠাবে। তিনি দেশে দেশের রাজনীতিতে বাম আর ডান মিলে যাওয়া, ধর্ষণ বন্ধে পুরুষদের সোচ্চার হওয়া, বিদেশী ঋণের ফাঁদে পা না দেয়া এবং বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফর্মেন্স নিয়ে কথা বলেন।
আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবারও মিয়ানমারে যাবেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারকে সম্মত করতে চেষ্টা করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন। ‘চীনের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা’ হিসেবে দেখেই চীন তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুবার মিয়ানমারে পাঠিয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, আমি উন্নয়নের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করি। রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে এ শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘিœত হাতে পারে বলে আমি উল্লেখ করি।
কারো ভূখন্ড চাই না
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশকে বাংলাদেশের ভূখন্ডে যুক্ত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এক কংগ্রেসম্যানের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরনের কথা বলাকে অত্যন্ত গর্হিত ও অন্যায় কাজ। আমরা এই অঞ্চলে শান্তিতে বিশ্বাসী। কারও ভূখন্ড আমাদের লাগবে না। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা সমস্যায় পড়েছে, আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। তার অর্থ এটা নয়, আমরা তাদের রাষ্ট্রের একটা অংশ নিয়ে চলে আসবো। এই মানসিকতা আমাদের নেই। কারো ভূখন্ড আমরা চাই না। প্রত্যেকটা দেশ তাদের সার্বভৌমত্ব নিয়ে থাকবে, এটাই আমি চাই। আমাদের যে সীমানা আছে আমরা তাতেই খুশি। এর বাইরে আর কোনও প্রদেশ জুড়ে দেওয়ার ব্যাপার আমরা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করি। এটা আমরা কখনোই নেবো না। মিয়ানমার তার সার্বভৌমত্ব নিয়ে থাকবে, সেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সীমানা জুড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ আসে কেন? এ ধরনের কথা বলা অত্যন্ত গর্হিত ও অন্যায় কাজ বলে আমি মনে করি।
এ অঞ্চলে শান্তি কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে আমরা শান্তি চাই। যুক্তরাষ্ট্র যেখানেই সমস্যা সমাধানের মোড়লগিরি করেছে, যেখানেই তারা হাত দিয়েছে সেখানেই তো আগুন জ্বলছে। সেখানেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, এসব কথা না বলে বরং মিয়ানমার কীভাবে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে, এই কংগ্রেসম্যানদের সে বিষয়ে কাজ করা উচিত।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি মেনে নিতে হবে
শেখ হাসিনা বলেন, ১০ হাজার কোটি টাকার ওপর আমাদের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। দাম বাড়ানোর পরও ভর্তুকি দিচ্ছি। তাহলে যে দামে কিনবো সেই দামে বিক্রি করি? ৬১ টাকা ১২ পয়সা করে এলএনজি আমদানি করে আমরা দিচ্ছি ৯ দশমিক ৮০ টাকায়। বিষয়টি আপনার চিন্তা করে দেখেন। ৯ টাকারটা ৬১ টাকা করে নেবো? আমাদের আর ভর্তুকি দিতে হবে না! বহুদিন পর হরতাল দিলেন তো, এটা পরিবেশের জন্য ভালো।তারপরও আন্দোলন। একটা মজার বিষয় আছে বাম আর ডান মিলে গেছে, এক সুরে। খুব ভালো।
দেশের অর্থনীতির উন্নতি চাইলে গ্যাসের যে মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে- তা মেনে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, দাম যেটুকু বাড়ানো হয়েছে, সেটুকু যদি বাড়ানো না হয় তাহলে আমাদের সামনে দুটি পথ আছে- হয় আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি না বাড়ে, সেজন্য এলএনজি আমদানি কমিয়ে দিয়ে এনার্জির ক্ষেত্র সংকুচিত করে ফেলব। অর্থনীতির উন্নতি হবে না। যদি উন্নতি চান এটাকে মেনে নিতে হবে। শুধু আমরা না গ্যাস আমদানিকারক দেশও এটা মেনে নেয়।
সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব বা সরকার যদি ভুল করে তার খেসারত জনগণকে দিতে হয় এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৪-০৫ সালে মিয়ানমারের যে গ্যাস, সেই গ্যাসে ভারত, মিয়ানমার, জাপান, চীন বিনিয়োগ করেছিল। ভারতে ওই গ্যাস নিতে চেয়েছিল বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে পাইপ লাইনে। একটি এমইউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার সরকার ওই পাইপ লাইনের গ্যাসটা নিতে দেয়নি। সেখানে যদি আমি থাকতাম তাহলে আমি কি করতাম- আমি পাইপ লাইনে গ্যাস নিতে দিতাম এবং আমার ভাগটাও রেখে দিতাম। আমাকে দিয়ে তারপর নিতে হবে। আমি মিয়ানমার থেকে পাইপ লাইনে গ্যাস আনতে পারতাম। সেই গ্যাস যদি এনে অর্থনীতির কাজে লাগাতে পারতাম তাহলে আমাকে এখন এলএনজি আমদানি না করলেও চলতো। সেই গ্যাসটা নিতে পারিনি। পুরাটা চীন কিনে নিচ্ছে। কিন্তু আমার তো আর নেয়ার কোন উপায় নাই।
চাকরির বয়স ৩৫ না করার পক্ষে
সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ৩৫ বছর বয়স-সীমা না করার পক্ষে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেরীতে হলেও একজন শিক্ষার্থীর ২৪/২৫ বছরের মধ্যে মাষ্টার্স শেষ হয়।
৩৫, ৩৬ ও ৩৭ তম বিসিএসের পাসের ফলাফল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৩ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে যারা পরীক্ষা দেয় তাদের পাসের হার ৪০ শতাংশের ওপরে, ২৫ থেকে ২৭ বছরের পরীক্ষার্থীদের পাসের হার ৩০-এর উপরে, ২৭ থেকে ২৯ বছরের ১৩-এর উপরে আর ২৯ বছরের পরে যারা পরীক্ষা দেয় তাদের পাসের হার ৩ শতাংশের মতো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩৫ বছর হলে কি অবস্থা হবে, হয়তো পাসের জন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩৫ বছর বয়সে পরীক্ষা দিলে এর রেজাল্ট, ট্রেনিং, ট্রেনিং শেষ হতে যদি আরও দুই বছর লাগে, তাহলে ৩৭ বছর গেলো। ৩৭ বছরে চাকরি হলে কী হবে? তাহলে একটা সরকার কাদের দিয়ে চালাবো? যাই হোক, আমি শুধু হিসাবটাই দিলাম, দেশবাসী বিচার করুক, আপনারও বিচার করুন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পার্লামেন্টে এ বিষয়ে প্রস্তাব এসেছে। এখন আন্দোলন করুক ভালো কথা, আমি তো আন্দোলনে বাধা দেবো না। আন্দোলন তো ভালো জিনিস। আন্দোলন করলে অন্তত রাজনীতিটা শিখবে ভালো করে। তবে যদি কারও প্ররোচনায় আন্দোলন করে থাকে, তাহলে কী হবে, সেটা বুঝতেই পারেন।
ধর্ষণ বন্ধে পুরুষদেরও সোচ্চার হতে হবে
দেশজুড়ে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা সব সময় সব দেশেই আছে। তবে হ্যাঁ, এখন মেয়েরা সাহস করে নির্যাতনের কথাটা বলে। এর বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নিচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে তাদের (অভিযুক্ত) ধরা হচ্ছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের জঘন্য কাজ যারা করছে, তারা মানুষ না। এক্ষেত্রে পুরুষ সমাজকেও বলবো, তাদের এ বিষয়ে সোচ্চার হওয়া উচিত।
বিদেশি ঋণের ফাঁদে পড়বে না বাংলাদেশ
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিদেশি ঋণের ফাঁদে পড়বে না। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করছি। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোও নিজস্ব অর্থায়নে নেওয়া হচ্ছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক বাড়লে আমেরিকার সঙ্গে কোনো সমস্যা হবে কি-না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার দিয়ে যাওয়া পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’। আমরা এ নীতি মেনে চলেছি। কার সঙ্গে কার দ্ব›দ্ব, তা দেখা আমাদের দরকার নেই। আমার কাজ করার ধরনটা আলাদা। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখে চলতে চাই। দেশকে এগিয়ে নিতে কোথা থেকে সাহায্য আসবে, সুবিধা কোথায় পাবো, সেটাই মূল বিষয়।
খেলোয়াড়দের সবসময় সাহস দেই/ আমি আমার ছেলেদের কখনও নিরুৎসাহিত করি না
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের খেলার বিষয়ে বলেন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যথেষ্ট উন্নতি করেছে। আমি আমার ছেলেদের কখনও নিরুৎসাহিত করি না। আমি বলি, তোমরা ভালো খেলেছো। আমার ছেলেদের কেউ খারাপ বলতে পারবে না।
ওয়ার্ল্ড কাপ পাওয়া একেকটা নামি-দামি দলের সঙ্গে খেলা সেটা কিন্তু কম কথা নয়। কিন্তু সেখানে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স অত্যন্ত চমৎকার ছিল। আমরা যে খেলতে পেরেছি বা এতটা যেতে পেরেছি এটা অনেক বড় কথা। আমাদের যারা খেলোয়াড় যেমন সাকিব আল হাসান সে তো বিশ্বে একটা স্থান করে নিয়েছে। মোস্তাফিজ একটা স্থান করে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলা এমন একটা জিনিস অনেক সময় ভাগ্যও কিন্তু লাগে। সবসময় যে একই রকম হবে তা নয়। এতোগুলো দল খেললো তার মধ্যে মাত্র চারটি দল সেমিফাইনালে উঠেছে। তার মানে কি বাকিরা সবাই খারাপ খেলেছে? খারাপ খেলার দায়শুধু আমরা নেব কেন। আমাদের ছেলেদের কেউ খারাপ বলতে পারবে না।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে বছরব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে জাতীয়ভাবে এবং দলীয়ভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন উপকমিটি করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হবে। এজন্য এই সময়কালকে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের আমন্ত্রণে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে গত ১ জুলাই বেইজিং যান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে গত শনিবার (৬ জুলাই) তিনি দেশে ফেরেন। চীন সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি চীনের দালিয়ান শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) অ্যানুয়াল মিটিংয়ে যোগদান করেন এবং ‘কো-অপারেশন ইন দ্য প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ঢাকা এবং বেইজিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সংক্রান্ত ৯টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।