পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরকীয়ায় আসক্ত নারীর ‘রক্ষাকবচ’ হিসেবে পরিচিত দন্ডবিধির ৪৯৭ ধারা চ্যালেঞ্জ হয়েছে হাইকোর্টে। এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ধারাটি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হব্ েনা-এই মর্মে রুলনিশি জারি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিচারতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ এবং বিচারপতি ইকবাল কবিরের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আইনমন্ত্রণালয়ের সচিব সহ সংশ্লিষ্টদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক এবং অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। আদালত থেকে বেরিয়ে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জানান, বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের অপরাধে বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় কেবলমাত্র পুরুষকে শাস্তির আওতায় আনা হয়। এ ধারা অনুযায়ী কোনও স্ত্রী কারও সঙ্গে পরকীয়া কিংবা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে শুধুমাত্র পুরুষপক্ষকে দায়ী করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়। আবার যখন কোনো পুরুষ অন্য কোনো নারীর সঙ্গে পরকীয়া করেন কিংবা বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তখনও পুরুষটিকেই দায়ী করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়। অথচ উক্ত ধারায় সংশ্লিষ্ট নারীকে কোনোভাবে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তির আওতায় আনা যায় না।
এছাড়া ওই নারীর স্বামীও তার স্ত্রীকে দায়ী করতে পারেন না। এর ফলে আইন প্রয়োগে নারী এবং পুরুষ বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। অথচ সংবিধানে নারী-পুরুষ উভয়কেই নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। দন্ডবিধির ৪৯৭ ধারাটি শুধুমাত্র পুরুষের জন্য। যা বৈষম্যমূলক। এটি নাগরিককে পৃথক দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। এছাড়া দন্ডবিধির ৪৯৭ ধারা অনুসারে স্বামী যদি কোনও বিধবা বা অবিবাহিত নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং স্ত্রী যদি স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে সম্পর্ক করেন তা আইনে বৈধতা দেয়া হয়েছে। অথচ পরোকীয়ার শাস্তি হওয়া উচিৎ নারীরও। তাই ধারাটি সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং বৈষম্যমূলক। আইনের এই ধারাটিকে আমরা সংবিধানের সঙ্গে ‘সাংঘর্ষিক’ এবং ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে চলতিবছর ১১ ফেব্রুয়ারি রিট করি। শুনানি শেষে হাইকোর্ট দন্ডবিধির ৪৯৭ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।