বর্ষার মৌসুমী বায়ুর সক্রিয় প্রভাবে গতকাল সোমবার মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে সারাদেশে। মাস শেষে আষাঢ় স্বরূপে ফিরেছে। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী সারাদেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে এক সপ্তাহ অব্দি। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বর্ষণের রেকর্ড সীতাকুন্ডে ২৩১ মি.মি.। এ সময় ঢাকায় ৩৮, চট্টগ্রামে ১৮৯, রাজশাহীতে ২০, রংপুরে ৫২, বরিশালে ১১, যশোরে ১৩, রাঙ্গামাটিতে ২০৭, হাতিয়ায় ১৭৯, সিলেটে ৩২, ময়মনসিংহে ২০, টেকনাফে ৬৩, তেঁতুলিয়ায় ১৪ মিলিমিটারসহ সর্বত্র বর্ষণ হয়েছে।

আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ুর বলয় ভারতের রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয়, উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল।

আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এর পরের ৫ দিনের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটারের ঊর্ধ্বে) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভ‚মিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়ার সতর্কতায় জানা গেছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখানো হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।