পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিরীক্ষা দাবির পাওনা আদায়ে গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ও রবির ১৫ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যানউইথ কমিয়ে দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। বিষয়টিকে অমীমাংসিত দাবি করে গ্রামীণফোন বলছে, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সীমিত করা বেআইনি ও অযৌক্তিক। বিটিআরসির এ সিদ্ধান্ত গ্রাহক, স্থানীয় ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং আইআইজি অপারেটরদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি। প্রয়োজনে সালিশের মাধ্যমে নিরীক্ষা দাবির গঠনমূলক নিষ্পত্তি চেয়েছে গ্রামীণফোন। তবে বিটিআরসি তাদের অবস্থানে অনড়। আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে সালিশের (আরবিট্রেশন) কোনো সুযোগ নেই। পাওনা আদায় না হওয়া পর্যন্ত ব্যান্ডইউথ সীমিতই থাকবে।
বিটিআরসির দাবি, গ্রামীণ ফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং আরেক মোবাইল ফোন অপারেটর রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে তাদের। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও ওই টাকা পরিশোধ না করার যুক্তি দেখিয়ে গত ৪ জুলাই গ্রামীণফোনের ব্যান্ডইউথ ক্যাপাসিটি ৩০ শতাংশ এবং রবির ১৫ শতাংশ সীমিত করতে ইন্টারনেট গেইটেওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। এরপর রাষ্ট্রায়ত্ত¡ টেলিকম কোম্পানি বিটিসিএলকেও গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ও রবির ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ কমাতে নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি।
গতকাল (রোববার) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যান্ডউইথ কমানোর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলি। তিনি বলেন, বিটিআরসির নির্দেশনাটি এমনভাবে করা হয়েছে যার ফলে নেটওয়ার্কের অধীনে থাকা গ্রাহকদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে যা মূলত: গ্রামীণফোনের ওপর চাপ তৈরি করতেই দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনার ফলে রাজস্ব আয় কমার পাশাপাশি ব্যবসায়িক সুযোগ হারাবে প্রতিষ্ঠানগুলো যদিও পুরো বিষয়টির ওপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
নির্দেশনাকে অনাকাক্সিক্ষত আখ্যায়িত করে ফোলি বলেন, আমরা বিটিআরসিকে এ নির্দেশনা তুলে নেওয়ার অনুরোধ করছি এবং সেইসাথে সালিস আইন, ২০০১-এর অধীনে অমীমাংসিত অডিট দাবির নিষ্পত্তিতে সহযোগিতার অনুরোধ করছি। এর আগে অমীমাংসিত অডিট দাবির গঠনমূলক নিষ্পত্তির জন্য গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বিটিআরসি’কে একটি সালিশ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশের বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিরব ভূমিকা পালন করছে বিটিআরসি। গ্রামীণফোন প্রতিনিয়তই বলে আসছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে গঠনমূলক সম্পর্ক জরুরী যাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হবে অভিন্ন। এখানে স্পষ্ট নীতিমালা ও কাঠামো প্রয়োজন যা হবে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং বাংলাদেশের আইনের সাথে সঙ্গতিপ‚র্ণ।
ব্যান্ডইউথ সীমিত করার নির্দেশের বিরুদ্ধে গ্রামীণফোন আদালতে যাবে কি না? এ প্রশ্নে মাইকেল ফোলি বলেন, অমীমাংসিত পাওনার বিষয়ে আমরা আদালত যেতে চাই না, আরবিট্রেশনের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করতে চাই। অডিট আপত্তি নিয়ে গ্রামীণফোন সালিশ চাইলেও ব্যান্ডউইথ সীমিত করার নির্দেশনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে কোম্পানির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। ব্যান্ডইউথ সীমিত করার জন্য গ্রামীণফোনের কি ধরণের আর্থিক ক্ষতি হবে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ভারপ্রাপ্ত সিএমও মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা চলছে, তবে গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বেশি। আরবিট্রেশনের মাধ্যমে মীমাংসা হলে কত টাকা গ্রামীণফোনকে দিতে হতে পারে- এ প্রশ্নে হোসেন সাদাত বলেন, তারা যে দাবি করেছে তা হয়ত হবে না, আরবিট্রেশন শুরু হলে সেখান থেকে আর ফিরে আসার সুযোগ নেই।
গ্রামীণফোনের সংবাদ সম্মেলনের পর বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক কমিশনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আইন অনুযায়ী এ ধরনের বিষয়ে সালিশ বা আরবিট্রেশনের সুযোগ নেই। টিআরসির আইন অনুযায়ী আরবিট্রেশনের কোনো উপায় নেই, তবে আলোচনার পথ খোলা রয়েছে। পাওনা টাকা অপারেটরদের দিতেই হবে। তবে এখন আইনে না থাকলেও এ ধরনের বিরোধ মীমাংসার জন্য যে আরবিট্রেশনের সুযোগ থাকা উচিৎ বলে মনে করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, আরবিট্রেশনের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করে আইন সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে আইন সংশোধনের ওই প্রক্রিয়া শেষ হতে ‘দীর্ঘ সময়’ লেগে যেতে পারে। গ্রামীণফোন সালিশের মাধ্যমে সুরাহা করার নামে বিষয়টি ঝুঁলিয়ে রাখতে চায় জানিয়ে বিটিআরসি প্রধান বলেন, আমাদের সাথে আলোচনার পথ খোলা আছে। তারা যে কোনো সময় আসতে পারে।
টাকা না পেলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্ত, পরবর্তীতে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব কি করা যায়। আইন অনুযায়ী এ ধরনের ক্ষেত্রে অপারেটরের লাইসেন্স বাতিলসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।