Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভূঞাপুরে যমুনায় তীব্র ভাঙন

শতাধিক ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন

ভুঞাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

যমুনায় পানি বাড়ার সাথে সাথে নদীর পূর্ব পাড়ে ভুঞাপুর অংশে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি। আরো ৩ শতাধিক ঘর-বাড়ি যমুনার ভাঙনের কবলে রয়েছে। উপজেলার গোবিন্দাসী, গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়নে এ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি, কষ্টাপাড়া ও ভালকুটিয়া এলাকায় কয়েকদিনে শতাধিক ঘরবাড়ি যমুনাগর্ভে চলে গেছে। খানুরবাড়ি গ্রামের আল-মামুন বলেন, ‘ত্রিশ বছরের অধিক সময় ধরে এখানে বসবাস করছি। গত বছর বাড়ির কিছুটা অংশ ভেঙে গেছে। এ বছরও বাড়ির অর্ধেক যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এমন ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের প্রকৌশলীদের দায়িত্বহীনতার কারণে দিন দিন ভেঙে যাচ্ছে নতুন নতুন ঘরবাড়ি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গোবিন্দাসী হতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত প্রায় ১৮টি বালুর ঘাট তৈরি করেছে ক্ষমতাসীন দলের সাথে সংশ্লিষ্ট বালু ব্যবসায়ীরা। তৈরিকৃত এই ঘাট থেকে শত শত ট্রাকযোগে বালু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে বিক্রি করছে। এছাড়া যমুনা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ভিট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ কারণে নদীতে ভাঙন বাড়ছে বলে ধারণা বিশেজ্ঞদের।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ জানান, উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে নদী ভাঙনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অর্জুনা ইউনিয়নের কুঠিবয়ড়া এলাকায় গাইড বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে।

টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ