Inqilab Logo

রোববার, ০২ জুন ২০২৪, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পিনপিনে বর্ষণে দুর্ভোগ বৃষ্টিপাত বৃদ্ধির সম্ভাবনা

সাগর উত্তাল বন্দরে সঙ্কেত চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের সতর্কতা

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম | আপডেট : ১২:১৫ এএম, ৭ জুলাই, ২০১৯

ঘোর বর্ষার টানা ভারী বৃষ্টির দেখা নেই। আষাঢ়ের ২২ দিনেও গতকাল শনিবার দেশের অধিকাংশ জেলায় পিনপিনে হালকা কিংবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে বেড়ে গেছে নানামুখী দুর্ভোগ। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী, কোথাও কোথাও অতি ভারী বর্ষণ হয়েছে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রামে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকে। মৌসুমী বায়ু তথা বর্ষার বায়ুমালা এখন বাংলাদেশের ওপর যথেষ্ট সক্রিয় বলে জানায় আবহাওয়া বিভাগ। এর ফলে ঘন মেঘের বিস্তার ও বর্ষণের মাত্রা সারাদেশে ক্রমেই বেড়ে যেতে পারে।

এদিকে বায়ুচাপের তারতম্য ও আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখানো হচ্ছে। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে বজায় রাখা হচ্ছে পাহাড়ধসের সতর্কতা। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাহাড়-টিলায় ও কিনারের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে এখনও রয়ে গেছে অনেকেই।

গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় কক্সবাজারে ১২১ মিলিমিটার। টেকনাফে ১১৪, কুতুবদিয়ায় ১১২ মি.মি.। হঠাৎ করে অতিবৃষ্টিতে ভাসছে কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটিতে মাঝারি বর্ষণ হয়।

অথচ গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১, ফরিদপুরে ৩, মাদারীপুরে ১২, ময়মনসিংহে ১৩, সিলেটে ৩৬, রাজশাহীতে ১৫, রংপুরে ৭, খুলনায় ৭, বরিশালে ২০ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাপমাত্রার পারদ নেমে গেছে সিলেটে ৩৪.২ ডিগ্রি সে., যা দেশের সর্বোচ্চ।

আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বর্ষার মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে জোরদার হয়েছে।

আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ স্থানে এবং রাজশাহী, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

ভারী বর্ষণের সতর্কতায় আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান জানান, বাংলাদেশে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মি.মি.) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটারের ঊর্ধ্বে) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ী এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ