পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিএমএইচে চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর কোথায় তাঁর করব দেয়া হবে সেই কবরস্থানের যায়গা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম ও এমপিদের যৌথসভায়। কেউ সাভারে দুই বিঘা জমি দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন,; কেউ ৫ কোটি টাকা দেয়ার প্রস্তাব করেছেন; আবার কেউ মোহাম্মদপুরে জমি কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন। কেউ আবার সংসদ ভবনের দক্ষিণপ্লাজায় করব দেয়ার প্রস্তাব করেন। তবে সাবেক প্রেসিডেন্টের এরশাদের ‘কবর নিয়ে’ কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি দলটির শীর্ষনেতারা। তবে দলের সিনিয়র কো চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ বৈঠকে আসেননি।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাপার প্রেসিডিয়াম ও এমপিদের যৌথসভায় সভা দুপুর তিনটা থেকে শুরু হয়ে চলে আড়াই ঘন্টা। সভায় বেশির ভাগ সময় ‘কবর’ নিয়েই আলোচনা হয়। এ ছাড়াও এরশাদের সর্বশেষ শাররিক অবস্থা ও এরশাদের কবরস্থান কোথায় হবে তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
সভায় দেশের বাইরে থেকে ভাল চিকিৎসক আনা যায় কিনা তা নিয়েও আলোচনা হয়। সভায় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের কবর দেয়ার জমি কেনার জন্য ৫ কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন। সভায় জাপার ৩৮ জন প্রেসিডিয়াম ও এমপি উপস্থিত ছিলেন।
জাপার যৌথসভার বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সভায় উপস্থিত অধিকাংশ নেতারা এরশাদের কবরস্থান নিজস্ব কেনা জায়গায় পাবলিক প্লেসে করার পক্ষে মতামত দেন। যদিও কয়েকজন প্রেসিডিয়াম দাবি করেন এরশাদ সেনানিবাস অথবা আসাদগেটের বিপরীতে সংসদ প্রাঙ্গণে তার কবর দেয়ার কথা বলেছেন। সভায় পার্টির নেতারা এর বিরোধীতা করে বলেন, এরশাদ দেশের ১৭ কোটি মানুষের নেতা। তার কবরস্থান যদি সেনানিবাসে হয় তাহলে সাধারণ মানুষ তার কবরস্থান জিয়ারত করতে যেতে পারবেনা।
সূত্র জানায়, সভায় জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সফিকুল ইসলাম সেন্টু মোহাম্মদপুর আদাবরে জায়গা কিনে কবর দেয়ার প্রস্তাব দেন। কাজী ফিরোজ রশীদ সে প্রস্তাব সমর্থন করে বলেন, আদাবর না পাওয়া গেলে সাভারে আমার নিজস্ব জায়গা থেকে দুই বিঘা জায়গা এরশাদের কবরস্থানের জন্য লিখে দিবো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। এরপর প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ পাবলিক প্লেসে এরশাদের কবরস্থান করার দাবি জানিয়ে বলেন, নেতা এরশাদের কবরস্থানের জন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে পাঁচ কোটি টাকা দিবো। তিনি আরো বলেন, স্যারকে যদি চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশে নিতে হয়, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যাবতীয় খরচও আমি বহন করবো। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন এম এ সাত্তার, সাহিদুর রহমান টেপা, শেখ মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, আজম খান প্রমূখ।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এরশাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এরশাদ বোন ক্যানসারে আক্রান্ত। তার রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ১০ শতাংশের কম আগে থেকেই। সভায় এরশাদের সুস্থতা কামনায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরের মসজিদ, মন্দির, গির্জায় দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এরশাদের চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয়েছে ৯ সদস্যের একটি কমিটি। এরশাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়ার জন্য সিঙ্গাপুর থেকো একজন চিকিৎসক আসবেন। তিনি এরশাদের শারীরিক অবস্থা দেখে বিদেশে নেয়া যাবে কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন। সভায় দলের সিনিয়র কো চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ আসেননি। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে রাঙ্গা বলেন, তিনি অসুস্থ, তিনতলায় হেঁটে উঠতে পারেন না, তাই আসেননি। তবে সভার সব খবর তাকে তাৎক্ষণিক জানানো হয়েছে।
এর আগে দুপুরে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি জানান, তিন দিন ধরে সাবেক প্রেসিডেন্ট জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলেন, এরশাদের ফুসফুস ও কিডনী কিছুটা উন্নতি করেছে। এই ধারা আরো ২/৩ দিন অব্যাহত থাকলে তিনি সুস্থ্য হয়ে উঠবেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে তিনি সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দেখতে গিয়ে তাঁর (্এরশাদ) কপালে হাত দিয়েছেন। তখন ভাই (এরশাদ) চোখ মেলে আমার কথা শুনেছেন। তার কিছু সমস্যা কমেছে। যেমন লাং ইনফেকশন কমেছে, কিডনির সমস্যার কারণে প্রসাব বন্ধ ছিল, তা সকাল (৩ জুলাই বুধবার) থেকে ক্লিয়ার হয়েছে। অর্থাৎ সার্বিক বিবেচনায় তার শরীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে তিনি আশঙ্কা মুক্ত নন। তবে তিনি এখনও অক্সিজেন সাপোর্টে আছেন। ২ ঘণ্টা অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। আবার ২ ঘণ্টা আন্ডার পেশারে রাখা হচ্ছে এবং এটা আস্তে আস্তে কমানো হচ্ছে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।