পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যায় জড়িতদের তথ্য একদিন সামনে আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
গতকাল বুধবার বিকেলে চীনের রাজধানী বেইজিং এ একটি হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িতদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খুনীদের বিচার করেছি, এটা ঠিক। কিন্তু এর পেছনে যারা ছিল, ষড়যন্ত্রের সাথে কারা জড়িত সেটা কিন্তু এখনো তদন্ত করা হয়নি। আমার মনে হয়, একটা সময় আসবে সেই সত্যগুলোও মানুষের সামনে চলে আসবে। শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করেছিল কারা? যারা আমাদের স্বাধীনতা চায়নি, বা মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর ছিল, যারা চক্রান্ত করেছিল। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলবো, এর সঙ্গে আমাদের নিজেদেরও কিছু লোক সম্পৃক্ত হয়েছিল ক্ষমতার লোভে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যেত। এ সময় গত ৭০ বছরে চীনের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, চীন ৭০ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছে। এই ৭০ বছরের মধ্যে চীনও কিন্তু একটা দরিদ্র দেশই ছিল। আজকে সেই সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক ভাবে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। চীনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তাদের ইতিহাস জানা, ধীরে ধীরে তাদের যে উন্নতি। তাদেরও অনেক প্রতিক‚ল পরিবেশের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এখনো বাধা আছে। এই অঞ্চল বা এশিয়ার কোন দেশ সারা বিশ্বে এক নম্বর অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে উঠুক এটা অনেকে চাইবে না। সেই বাধা আমরা দেখি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সে স্বপ্ন অর্জন করাই ছিল একমাত্র লক্ষ্য। এটাই আমাদের চেষ্টা কিভাবে বাংলাদেশটাকে গড়ে তুলবো। এমন একটা বাংলাদেশ গড়ে তুলবো যেখানে ক্ষুধা-দারিদ্র থাকবে না।
বাজেট বরাদ্দ ও উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে বিদেশী অর্থের ওপর নির্ভরশীলতা কমে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন বাজেটের ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছি। যে বাজেট করি এই বাজেটে কিন্তু বিদেশী অনুদানের অংশ হচ্ছে মাত্র শুন্য দশমিক ৮ শতাংশ। অথচ এমন একটা সময় ছিল যখন বাজেটের সিংহ ভাগই আসতো অনুদান হিসেবে। সব কাজ করার মানসিকতা রাখার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিকে যান্ত্রিকিকরণ করছি, সেই সাথে উৎসাহিত করছি। একেবারে দুই পাতা পড়লেই যে কৃষি কাজ করা যাবে এই মানসিকতা পরিহার করতে, এই মানসিকতা থাকতে পারবে না। সবাইকে সব কাজ করতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি শেখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাণিজ্য কুটনীতির কথা উল্লেখ করে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন কুটনীতিটা শুধু রাজনৈতিক নাই, কুটনীতি এখন অর্থনৈতিকও, ব্যবসা-বাণিজ্য। বিনিয়োগ আনা। শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। তবে দেশকে ভুললে চলবে না। দেশের জন্য কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন সকলে বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। কিন্তু আমাদের অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে। প্রশংসা শুনে বসে থাকলে চলবে না এগিয়ে যেতে হবে, আরও কাজ করতে হবে।
স্বাধীন বাংলাদেশে ২৯ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে বিগত ১০ বছরে তার চেয়ে বেশি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা স্বাধীনতা চায়নি, মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতা করেছে, এখনো পাকি প্রেমে বিভোর হয়ে থাকে তারা ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নতি হবে কিভাবে? স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকলে দেশ উন্নত হয় প্রমাণটা আপনারা দেখেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, কিছু লোক আছে যাই করি তারা কিছু দেখতে পায় না। আসলে তাদের উদ্দেশ্য তারা গণতন্ত্র চায় না, কারণ গণতন্ত্র না থাকলে তাদের সুবিধা হয়, বিশেষ মূল্যায়ন হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুলল মোমেন, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. ফজলুল করিম প্রমুখ।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।