পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ খুব দ্রুতগতিতে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে। গত বছর দেশটির সংসদে নাগরিক তথ্য এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সুরক্ষার লক্ষ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট পাশ করে। এই আইনের ধারায় অনলাইনে মিথ্যে বা উস্কানিমূলক তথ্য প্রকাশে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং সারা বিশ্বজুড়েই এখন এমন আইন প্রণয়নের জোয়ার বইছে।
তবে পরিতাপের বিষয় হলো, অধিকাংশ পশ্চিমা গণমাধ্যম এবং বে-সরকারি গ্রুপগুলো বাংলাদেশের নতুন আইনের তীব্র সমালোচনা এবং নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এর মাধ্যমে সরকার বাক-স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের অধিকার হরণ করবে। কিন্তু এমন দাবী সর্বাঙ্গে সত্য নয়। সত্য হচ্ছে, বাংলাদেশে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার অবিশ্বাস্য উন্নতি হয়েছে। ৯টি প্রধান জাতীয় পত্রিকা এবং ৩শ স্থানীয় পত্রিকা প্রকাশ্যে সকল ধরনের মতামত প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছে। এর মাঝে সরকারের সমালোচনামূলক লেখাও রয়েছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে, কিন্তু বাকি ৩০টি বেসরকারি নেটওয়ার্ক সংবাদ প্রচারে তাদের নিজস্ব বিশ্লেষণকে প্রাধান্য দেয়। তারা যেভাবে ভালো মনে করে, সেভাবেই সংবাদ পরিবেশনার স্বাধীনতা পায়। সরকার, ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিবিদ এবং তাদের নীতির আলোচনা-সমালোচনা করার ক্ষেত্রে তাদের সামনে কোন বাঁধা নেই। একই রকম, বৈচিত্রপূর্ণ সংবাদ পরিবেশনা দেখা যায় ২২০টির অধিক স্বাধীনভাবে পরিচালিত অনলাইন নিউজ সাইটে।
গণমাধ্যমে দাবীয়ে রাখার নীতিতে এই সরকার বিশ্বাসী নয়, বরং সরকার অধিকাংশ মানুষের মতামত যেন গণমাধ্যমের সংবাদে প্রতিফলিত হয়, সেই উদ্যোগ নিয়েছে। একইসঙ্গে, বাংলাদেশের সকল নাগরিককে সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে সুরক্ষার দায়িত্বও সরকারের রয়েছে। আর সরকার সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই নতুন আইনটি কার্যকর করেছে। কারণ যেভাবে বিশ্বের ডিজিটাল দুনিয়া অগ্রসর হচ্ছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন আইন প্রণয়ন করাও ছিলো সময়ের দাবী। তবে একথা সত্য, অন্য যে কোন আইনের মতোই সা¤প্রতিক প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও ত্রুটিমুক্ত নয়।
স্বাধীনতার নিজস্ব চ্যালেঞ্জ আছে, গণতন্ত্র একটি জটিল প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ এই দুইকেই গ্রহণ করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এই দুই মুল্যবোধের রক্ষক এবং নাগরিকদের সুরক্ষা কবচ। এই মেলবন্ধন যেমন সহজ নয়,তেমনি এর ভারসাম্য রক্ষা করাও কষ্টসাধ্য কাজ। এসব নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দিনরাত কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।