পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাহাড়ের গহীন অরণ্যে সশস্ত্র তৎপরতায় লিপ্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন মারমা লিবারেশন পার্টি এমএলপি’র রাজনীতি ছেড়ে আসা জামাই শ্বশুরকে না পেয়ে তাদের স্ত্রী-কন্যাকে গুলি করে হত্যা করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার দুপুরে রাইখালী ইউনিয়নের গবাছড়ার আগাপাড়া এলাকা থেকে নিহত মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ। নিহতরা হলেন, ম্রা সাং খই মারমা (৬০) স্বামী কং সু ইউ মারমা, ও তার মেয়ে মে সাংনু মারমা (২৯) স্বামী হ্লা সিংউ মারমা। রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ছুফি উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, কে বা কারা ঠিক কি কারনে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে নিহতদের লাশ মঙ্গলবার বিকেলে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে আনে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ। লাশের ময়না তদন্তশেষে তাদের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে। এদিকে স্থানীয়রা পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রুপ মারমা লিভারেশন পার্টি’ এমএলপি’র ভয়ে এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে পুলিশকে কোনো ধরনের তথ্য দিচ্ছেনা। গবাছড়া এলাকাবাসি চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন নিহত মা-মেয়ে উভয়ের স্বামী ইতিপূর্বে মারমা লিবারেশন পার্টি ‘এমএলপি’র সক্রিয় সদস্য ছিলেন। স¤প্রতি তারা সে দল ত্যাগ করে পাহাড়ের একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলে যোগ দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এমএলপি’র সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা রাতের অন্ধকারে তাদের বসতঘরে হামলা চালিয়ে মা-মেয়েকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সন্ত্রাসীদের গুলির শব্দ শুনে পাশের এলাকায় টহলরত সশস্ত্র অপর একটি গ্রুপ গবাছড়া এলাকায় এসে এমএলপি’র সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকলে এমএলপি’র সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
রাঙামাটির রাজস্থলী, কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলার গহীন অরণ্যে সম্প্রতি মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি, মারমা লিভারেশন পার্টিসহ অন্তত ৫টি সশস্ত্র গ্রুপ আধিপত্যের লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে। মূলতঃ চাঁদাবাজি আর অবৈধ অস্ত্রব্যবসা নিয়ন্ত্রণে গ্রুপগুলোতে স্থানীয় পাহাড়ি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজনকে জোর করে ভর্তি করা হয়। এদেরকে গেরিলা সামরিক ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়। এরাই নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে প্রায় সময়েই সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।