Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডায়াবেটিসে ইনসুলিন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? তাহলে আপনার নিয়ম মানার সতর্কতা তো রয়েছেই। তার সঙ্গে রয়েছে ইনসুলিনের খামখেয়ালিপনা নিয়েও চিন্তা। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে ভুগলে ভয়ভীতি করে লাভ নেই। কারণ তাদের শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় না বলে গোড়া থেকেই ইনজেকশন নিতে হয়। তবে এ তো মাত্র ৫-১০ শতাংশ রোগীর গল্প। ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে ৯০-৯৫ শতাংশেরও বেশি ভোগেন টাইপ ২ বা অ্যাডাল্ট অনসেট ডায়াবেটিসে।
মধ্য বয়সের আগে-পরে রোগ হলে রোগের পর্যায়ের উপর নির্ভর করে প্রথম দুই এক বছর ডায়েট-লাইফস্টাইল মেনে তাকে ভাল ভাবে বশে রাখা যায়। তারপর ওষুধ খেতে হয়। তার ৫-১০ বা ১৫ বছর পরে ইনসুলিন। এখানে কারো কিছু করার নেই। চিন্তারও কিছু নেই।

কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা বোঝেন না। তারা ভাবেন, ইনসুলিন শুরু হয়েছে মানেই ডায়াবেটিস খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে। কেউ ভাবেন এতে আসক্তি হয়। কারও ভয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার। কেউ আবার ইনসুলিন নিচ্ছেন বলে নিয়মকানুন ভুলে সব কিছু খেতে শুরু করেন। কারণ তাদের ধারণা, ইনসুলিন শুরু হয়ে গেলে আর খাবারের নিয়ম মানার দরকার নেই। এ সবই ভুল ধারণা।

ডায়েট, ব্যায়াম ও ওষুধের নিয়ম মানার পরও যখন আর প্যানক্রিয়াস থেকে পর্যাপ্ত ইনসুলিন বের হয় না। তখন বাইরে থেকে ইনসুলিন দিয়ে রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে হয়।

ইনসুলিনে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। প্রয়োজন সত্তে¡ও না নিলে বরং আয়ু কমে। প্রেশার-কোলেস্টেরল বাড়তে পারে। হার্ট, কিডনি থেকে শরীরের সব প্রত্যঙ্গই খারাপ হতে শুরু করে। অতএব, ডাক্তার বললে, নির্দ্বিধায় শুরু করুন।

ইনসুলিন নিলেও খাবারে নিয়ন্ত্রণ রাখা দরকার। কারণ ইনসুলিনে সুগার কমে, ওজন তো আর কমে না। ডায়াবেটিস থাকলে এমনিতেই হাই প্রেশার-কোলেস্টেরল ও হৃদরোগের চান্স থাকে। ওজন বাড়লে সে চান্স আরও বেড়ে যায়। বেশি প্রোটিন খেলে কিডনি খারাপ হয় দ্রুত। অতএব ইনসুলিন নিন বা ওষুধ খান, খেতে হবে লো-ক্যালোরির সুষম ও ফাইবারযুক্ত খাবার।

ইনসুলিন নিলে দুই এক কেজি ওজন বাড়ে। শুয়ে-বসে থাকলে তা আরও বেড়ে যায়। তার হাত ধরে বাড়ে রোগের জটিলতা। কাজেই নিয়মিত ব্যায়াম করে শরীর একেবারে ছিপছিপে রাখা দরকার।
অনেক সময় পর্যাপ্ত ইনসুলিন নেওয়া সত্তে¡ও সুগার ঠিক ভাবে কমে না। অর্থাৎ ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হয়। তখন ভাল করে ব্যায়াম করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ হয়।

কিছু তথ্য
ইনসুলিন ফ্রিজের সাধারণ তাপমাত্রায় রাখতে হয়। তবে বাড়িতে ফ্রিজ না থাকলেও ক্ষতি নেই। গরমকালে মাটির পাত্রে পানি নিয়ে তার মধ্যে ইনসুলিনের বাক্সে রাখুন। শীতে তাও লাগবে না। ঘরের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির কম হলে ২৫-৩০ দিন এমনিই তা ভাল থাকবে। ইনসুলিন ডিপ ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।

নিয়ম মেনে ইনসুলিন নিলে হঠাৎ সুগার খুব কমে যায় না। কমলেও তা খুবই ক্ষণস্থায়ী। ৩-৪ চামচ গ্লকোজ বা ২-৩টা চকলেট খেলেই ঠিক হয়ে যায়। তবে চকলেট জাতীয় কিছু এ সময় না খাওয়াই ভাল। কারণ তাতে প্রচুর ফ্যাট থাকে বলে গ্লকোজ রক্তে মিশতে একটু বেশি সময় নেয়, যা এ সময় হওয়া উচিত নয়। সূত্র : শাটারস্টক-আনন্দবাজার পত্রিকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ