পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশে গত ৬ মাসে ৭৬টি নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭১ জন নিহত ও নিখোঁজ হন ৯৩ জন। নিখোঁজদের সন্ধান না পাওয়ার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। এ হিসাবে ছয় মাসে প্রাণহানির সংখ্যা ১৬৪। এ ছাড়া এসব দুর্ঘটনায় আহত হন ২২৬ জন। শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) নিয়মিত মাসিক জরিপ ও পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এসসিআরএফ সভাপতি আশীষ কুমার দে বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নৌ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ কাউকে পরবর্তী সময়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের মৃত্যু হয়েছে বলেই ধরে নেয়া হয়। এই বিবেচনায় গত ছয় মাসে নৌ দুর্ঘটনায় লাশ উদ্ধার হওয়া ৭১ জন ও নিখোঁজ ৯৩ জন মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ১৬৪।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ১২ নারী ও ১৩ শিশু রয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় নৌপথে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রলারসহ ছোট ছোট দুর্ঘটনায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
৬ মাসের দুর্ঘটনার চিত্র
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারিতে ১০টি দুর্ঘটনায় দুই নারী ও দুই শিশুসহ ৯ জন নিহত, ৩৭ জন আহত ও ২০ জন নিখোঁজ হয়। ফেব্রুয়ারিতে ১৫টি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়; যার মধ্যে দুই নারী ও দুই শিশু রয়েছে। আর আহত ও নিখোঁজের সংখ্যা যথাক্রমে ৬৭ ও ৩৮। মার্চে ১৮টি দুর্ঘনায় চার নারী ও পাঁচ শিশুসহ ১৫ জন নিহত, ৫০ জন আহত ও ১১ জন নিখোঁজ হয়। এপ্রিলে ১৪টি দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়; যার মধ্যে এক নারী রয়েছেন। ওই মাসে আহত ও নিখোঁজ হয় যথাক্রমে দুইজন ও ১৬ জন। মে মাসে দুর্ঘটনা ঘটে ১২টি; এতে দুই নারী ও দুই শিশুসহ ১৩ জন নিহত এবং ৪৬ জন আহত ও সাতজন নিখোঁজ হয়। জুনে সাতটি দুর্ঘটনায় এক নারী ও দুই শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়। আহত ও নিখোঁজের সংখ্যা যথাক্রমে ২৪ ও এক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।