Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আষাঢ়ী বর্ষণ উধাও

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত। সঙ্গে হিমেল দমকা হাওয়া। এটাই হচ্ছে আষাঢ় মাসের চিরাচরিত বৃষ্টিপাতের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এখন তা উধাও। দেখা যাচ্ছে হঠাৎ কোনো ক্ষুদ্র এলাকাভেদে ঝুম বৃষ্টি। তাও অল্পক্ষণ। বৃষ্টি কেটে গেলে আবার কড়া সূর্যের তেজ। অসহনীয় ভ্যাপসা গরম। আর এভাবেই বর্ষাঋতুর পয়লা মাস আষাঢ়ের তৃতীয় সপ্তাহ পার হতে চলেছে।

এই ভরা বাদলের আষাঢ়ে গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৩৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (সিলেট)। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা, ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাত হয়েছে। মাটিও ভিজেনি সাময়িক এই বৃষ্টির ফোটায়। একে ‘আষাঢ়ী বর্ষণ’ বলা যায় না। বিক্ষিপ্ত-বিচ্ছিন্নভাবে টেকনাফে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৯৩ মিলিমিটার।

সর্বশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাস মতে, চলতি সপ্তাহেও একযোগে দেশজুড়ে বর্ষার ‘স্বাভাবিক’ বর্ষণের সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি ঝরতে পারে এলাকাভেদে। সেই সঙ্গে বজ্রপাতের শঙ্কা রয়েছে তাপদাহের কারণে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত না হয়েই বরং সরে গেছে ভারতের দিকে। এটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব ঝাড়খন্ড এবং সংলগ্ন উত্তর উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ এলকায় অবস্থান করছে।

আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বাংলাদেশের দক্ষিণাংশে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় ও দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারী থেকে জোরদার রয়েছে।

আজ (বুধবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি এবং রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এর পরের ৫ দিনে দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ