পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, একনায়কতন্ত্রের অবসানের মধ্যদিয়ে দেশকে মুক্ত করাই জাতীয় মুক্তি মঞ্চের লক্ষ্য উল্লেখ করে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, কাপুরুষের মতো ঘরে বসে না থেকে মাঠে নামতে হবে।
গতকাল (সোমবার) চট্টগ্রামে ‘পুনঃ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার’ মুক্তির দাবিতে নবঘোষিত জাতীয় মুক্তি মঞ্চ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এ আলোচনা সভায় মঞ্চের আহ্বায়ক কর্নেল অলি বলেন, জাতীয় মুক্তি মঞ্চ কোন ধ্বংসাত্মক কাজে যুক্ত হবে না। আমাদের কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ এবং লক্ষ্য হবে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা তথা ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা, মানবাধিকার নিশ্চিত করা, জনগণের সরকার গঠন করে জাতিকে মুক্ত করা। বেগম খালেদা জিয়া এবং সকল রাজবন্দিদের মুক্ত করতে হবে। নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বেগম জিয়াকে সাজানো বিচারে আটক করে আর্থিক, শারীরিক, মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে তিন থেকে ছয় মাসের বেগম জিয়ার মৃত্যু হতে পারে। এজন্য সরকার দায়ী থাকবে।
অলি আহমদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে একনায়কতন্ত্র নয়। আমরা অনির্বাচিত জাতীয় সংসদ ও সরকারের অবসান চাই। বর্তমান সরকারের আমলে ৭৬ শতাংশ নারী ও শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন বা কার্যকরী পদক্ষেপ নেই। আওয়ামী পন্থী সরকারী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মঞ্চ তৈরি করে বিএনপিকে নাজেহাল করার ঘটনা ঘটেছিল। বিএনপি এর চেয়ে শতগুণ বড় ইস্যু পেয়েও আন্দোলন করতে পারেনি। অনেকে অবৈধ পন্থায় উপার্জিত সম্পদ রক্ষার জন্য সরকারের সাথে সমঝোতা করে কাজ করছে। সরকার বিএনপির এ দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ২০১৪ সালে সুকৌশলে দালালের মাধ্যমে বিএনপিকে জাতীয় নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ একতরফাভাবে বিনা ভোটে সংসদ ও সরকার গঠন করে দেশকে একনায়কত্ব ও নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের দিকে একধাপ এগিয়ে যায়। জাতীয় মুক্তি মঞ্চ গঠনের পর বড় দল বিএনপি স্বাগত জানিয়েছে। পাশাপাশি সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও স্বাগত জানানো একটি ব্যতিক্রম ঘটনা।
কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে এখন নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। দেশের অর্থনীতি এখন এক চরম সঙ্কটে উপনীত হয়েছে। সাম্প্রতিক বাজেট তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বৈষম্যমূল্যক ও কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি, ঋণ নির্ভর উচ্চাভিলাষি উন্নয়ন কর্মসূচি, স্থবির বিনিয়োগ খাত, দলীয়করণ ও লুটপাটের কারণে ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে সৃষ্টি হয়েছে চরম দুর্দশা। ৪০ শতাংশ টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়ে গেছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে ব্যাংকিং খাতে ধস নামতে পারে।
সভাপতির বক্তব্যে মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক বলেন, ১৯৭১ সালে মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। যুদ্ধ না করলে সূর্যসেনের মতো ফাঁসি হতো। দেশের অচলায়তন দূর করতে জাতীয় মুক্তি মঞ্চ গঠন করা হয়েছে। কর্নেল অলির নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাগপার সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির কেন্দ্রীয় সদস্য নুরুল আলম, এলডিপির কেন্দ্রীয় নেতা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, ফজলুল কাদের তালুকদার, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, দক্ষিণ জেলা এলডিপির সভাপতি এডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী, জাগপার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবু মোজাফফর মোহাম্মদ আনাস, কল্যাণ পার্টির মহানগর সভাপতি মো. ইলিয়াস, রাঙ্গামাটি এলডিপির সভাপতি দিবারক দেওয়ান, মহানগর এলডিপি নেতা দোস্ত মোহাম্মদ প্রমুখ। আলোচনা সভায় জাতীয় মুক্তি মঞ্চের পক্ষ থেকে ১৮ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। কর্নেল অলি আহমদ এ আলোচনা সভায় বিএনপির প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে টেলিফোন করেন। তবে গতকাল এ সভায় বিএনপির কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।