Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইন বাস্তবায়নে আজ থেকে মোবাইল কোর্ট

ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি টিভি চ্যানেলে অবৈধ বিজ্ঞাপন স¤প্রচার ও স্থানীয় ক্যাবল নেটওয়ার্ক সিনেমা ও বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বন্ধ করা এবং ক্যাবল নেটওয়ার্কে চ্যানেলের ক্রমে রাষ্ট্রীয় চ্যানেলের পর স¤প্রচারের তারিখ অনুসারে দেশি বেসরকারি চ্যানেল গুলোকে রাখা নিশ্চিত করতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দেশব্যাপী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা আজ থেকে শুরু হচ্ছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীতে সচিবালয় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ ব্যবস্থার কথা জানান। তথ্যসচিব আবদুল মালেক, অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, উল্লিখিত বিষয়ে ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬ মেনে চলা নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ৩০শে জুন সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল। দেশ ও দেশের টেলিভিশন শিল্পের কল্যাণে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, আশা করি সকলে এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করবেন। এটা ঠিক যে, বিদেশি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন স¤প্রচার বন্ধে কারিগরি প্রযুক্তিগত বিষয় রয়েছে। কিন্তু সে বিষয় নিরসনের চেষ্টা না করে কেউ অনির্দিষ্টকালের জন্য সময় বরাদ্দ চাইলে তা দেয়া সম্ভব নয়।

এসময় সাংবাদিকরা জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার জন্য পাকিস্তানের করা ডিজাইন বাস্তবায়নে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর সরিয়ে নিতে চায় সরকার’- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের এ মন্তব্যের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান বলেন, লুই কান প্রণীত নকশাটিই বিষয়, কোন আমলে নকশা করা হয়েছে, সেটি বিষয় নয়। সংসদ ভবনও তো পাকিস্তান আমলে তৈরি হয়েছে। তাই বলে সে ভবনে কি বসা যাবে না?

স¤প্রতি মার্কিন কংগ্রেসম্যান ব্রাড শেরম্যান রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের দায়ে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশকে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন এবং কংগ্রেসম্যান এলিয়ট এনজেল মিয়ানমারে মার্কিন সামরিক সহায়তা স্থগিত করার প্রস্তাব দিয়েছেন- এ বিষয়ে সাংবাদকিদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দু’টি প্রস্তাবই একান্তভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে একথা সত্য যে, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। শতশত বছর ধরে তারা সেখানে বসবাস করছে। শুধু মিয়ানমারের সংসদেই তাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল না, মন্ত্রিসভাতেও রোহিঙ্গা প্রতিনিধিত্ব ছিল। সেই রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা যেমন সমিচীন নয়, তেমনি স্পষ্টত:ই সেখানে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। মার্কিন প্রস্তাবগুলো মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে যাতে করে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব স্বীকার করে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কাজটি দ্রæত সম্পন্ন করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ