পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংকটের যৌক্তিক সমাধানে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির দুই সিনিয়র নেতা তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে গতকাল রোববার ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের নিয়ে গঠিত সার্চ কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং আন্দোলনকারীদের সাথে পৃথক বৈঠক করেছেন তারা। রাজধানীর নয়াপল্টনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের চেম্বারে এ বৈঠক হয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে সার্চ কমিটির মাধ্যমে দ্রুতই তা আন্দোলনকারীদের জানিয়ে দেওয়া হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত কাউন্সিলের কার্যক্রম ও আন্দোলন দুটিই স্থগিত থাকবে।
জানা গেছে, বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে বৈঠকে ছাত্রদলের কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ২০০০ সালের এসএসসির পরিবর্তে অনার্সে ভর্তির সেশন ২০০০ করার প্রস্তাব দেয় আন্দোলনকারীরা। তখন সিনিয়র নেতারা প্রস্তাবটি নিয়ে তারেক রহমানের সাথে কথা বলা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তাদের। এ সময় সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কাউন্সিলের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এটাকে প্রাথমিক অর্জন বলে মনে করছে আন্দোলনকারীরা। বৈঠকে উপস্থিত ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির একজন সহ-সভাপতি এ তথ্য জানিয়েছেন। ছাত্রদলের সংকট নিয়ে গত শনিবার রাতে বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানে সংকট নিরসনে স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর রায়কে দায়িত্ব দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলের সংকট সমাধানে আন্দোলনকারী ১২ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ দুটি প্রস্তাব নিয়ে এগোচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। প্রথমটি হচ্ছে- ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের দিয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি করা, যারা নতুন কমিটি গঠনে নির্বাচনের তফসিল ঠিক রেখে কাউন্সিলের কার্যক্রম শেষ করবে। এক্ষেত্রে বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের মধ্যে যারা বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে আছেন (রাজীব আহসান, মামুনুর রশিদ মামুন ও আকরামুল হাসান) তাদের কমিটিতে রাখা হবে না। সংকট নিরসনে সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে গত শনিবার বিকেলে বিএনপিকে লিখিতভাবে আহ্বায়ক কমিটির এই প্রস্তাব দিয়ে সিলেকশন কিংবা ইলেকশন যেকোনো প্রক্রিয়ায় তা গঠনে আপত্তি না থাকার কথা জানিয়েছিল ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতারা। আরেকটি হল- বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের যোগ্যতা অনুযায়ী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ-সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা। এ দুই প্রস্তাবকে সামনে রেখে সংগঠনটির সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এর মধ্যে দলের লক্ষ্য ঠিক রেখে দ্বিতীয় প্রস্তাবনাটিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের কার্যক্রম পরবর্তীতে শুরু হবে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।