পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা আরও দুটি চালান আটক করা হয়েছে। একটি চালানে সিলিং বোর্ডের ঘোষণায় আনা হয়েছে পাঁচ কন্টেইনার দামি পলিশড টাইলস। অন্য একটি চালানে ১২ হাজার ২৪৮ বর্গমিটার মূল্যবান আনফিনিশড জায়নামাজের ঘোষণায় আনা হয় ২৬ হাজার বর্গমিটার তৈরি জায়নামাজ। মিথ্যা ঘোষণায় আনা এ দুটি চালানের মাধ্যমে কমপক্ষে কোটি টাকার বেশি শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানান কাস্টমের কর্মকর্তারা। গতকাল রোববার সন্দেহভাজন ওই দুটি চালানের শতভাগ কায়িক পরীক্ষার পর মিথ্যা ঘোষণার বিষয়টি ধরা পড়ে। জিপসাম সিলিং বোর্ড ঘোষণায় আনা এক চালানের ৫ কন্টেইনার পলিশড টাইলস আটক করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। নগরীর হালিশহরের নয়াবাজার পোর্ট কানেকটিং রোড এলাকার ডাবল এ ট্রেড কমিউনিকেশন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নামে চালানটি চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এটি খালাসের দায়িত্বে ছিল একই এলাকার সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান আদিব ইন্টারন্যাশনালের।
কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা জানান, চালানটি খালাসের জন্য ২৪ জুন বিল অব এন্ট্রি (সি-১০১৫০৯১) দাখিল করা হয়। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৮৫ হাজার কেজি জিপসাম সিলিং বোর্ডের শুল্ক কর হিসাব করে কাস্টম হাউসের অনুক‚লে দাখিলও করে। কিন্তু গোপন সংবাদ থাকায় চালানটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এ সময় মিথ্যা ঘোষণার বিষয়টি ধরা পড়ে। যাতে পাওয়া যায় ৬ হাজার ৮০২ বর্গমিটার পলিশড টাইলস। এদিকে, ঢাকার নয়া পল্টন এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রেডিং কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠান তুরস্ক থেকে একটি চালানে (সি-১০২০৫৬৪) আনফিনিশড প্রেয়ার সেট (জায়নামাজ) আমদানি করে। তাদের ঘোষণায় চালানে ১২ হাজার ২৪৮ বর্গমিটার জায়নামাজ আনার কথা থাকলেও আনা হয়েছে প্রায় দ্বিগুণের বেশি ২৬ হাজার ৬০০ বর্গমিটার। ঘোষণার অতিরিক্ত পণ্য আনায় এ চালানটিও আটক করেছে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ির এসএফ ইন্টারন্যাশনাল।
দুইটি চালান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম গতকাল রাতে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গোপন তথ্য থাকায় এবং সন্দেহ হওয়ায় দুটি চালান খালাসের আগে জব্দ করা হয়। এরপর কায়িক পরীক্ষা করে একটিতে মিথ্যা ঘোষণা এবং অন্যটিতে ঘোষণার অতিরিক্ত পণ্য আমদানির প্রমাণ পাওয়া যায়। সিলিংয়ের নামে টাইলসের ৫ কন্টেইনারের একটি চালান এবং আনফিনিশড প্রেয়ার সেটের আরেকটি চালান আটক করা হয়েছে। এ দুইটি চালানে কী পরিমাণ শুল্ক, কর ফাঁকি হয়েছে তার হিসাব এবং আইনগত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মিথ্যা ঘোষণা ও শুল্ক ফাঁকি রোধে আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি। এ কারণে এসব চালান ধরা পড়ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রায় মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ঘটছে। নিয়মিতই ধরা পড়ছে এমন চালান। গত ১১ জুন প্লাস্টিক দানার বদলে মূল্যবান সিমেন্ট আমদানি করা প্রাণ গ্রুপের ৩০ কন্টেইনার পণ্য আটক করা হয়। মিথ্যা ঘোষণায় মাধ্যমে প্রাণ গ্রুপ প্রায় তিন কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।