পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
’৯৪ তে বিরোধীদলীয় নেত্রী থাকাকালীন সময়ে শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার মামলায় পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপির ২৮ নেতাকর্মীর জামিন বাতিল করেছে আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার পাবনার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়ারা জজ আদালতে ২৮ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। আসামিদের লিভ টু আপিল বাতিল হওয়ায় আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করেন। এ বছরের ১৪ মে এ মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়। যুক্তিতর্ক শেষ হলে যে কোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে বলে বিজ্ঞ আদালত ঘোষণা করেন। ইতোমধ্যে বাদী পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামি পক্ষের ৫৬ জনের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এ মামলায় আসামিরা হলেন পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি কেএম আক্তারুজ্জামান আক্তার, পাকশীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাহাপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান রাজু, সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, রেজাউল করিম শাহীন, আজিজুর রহমান শাহীন, সেলিম আহমেদ, পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনিসহ ২৮ জনের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। নতুন করে আসামি তালিকাভুক্ত হয় ঈশ্বরদীর সাবেক পৌর মেয়র মোখলেছুর রহমান বাবলু, জাকারিয়া পিন্টু, বিএনপি নেতা হুমায়ূন কবীর দুলাল প্রমুখ। আদালত একই সাথে পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। আসামিদের মধ্যে গত ২৫ বছরে ওসিয়া, আলী আজগর, খোকন, তুহিন ও আলমগীরসহ ৫ জন মৃত্যুবরণ করায় তাদের এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে ট্রেনবহর নিয়ে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ঈশ্বরদী স্টেশনে তাকে বহনকারী ট্রেন যাত্রাবিরতি করলে অতর্কিত শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর মামলাটি পুনঃতদন্ত করে পুলিশ। তদন্ত শেষে আরও আসামিকে যুক্ত করা হয়। পাবনার ঈশ্বরদীর শীর্ষস্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়। পরে আদালত অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠায়। ১৯৯৬ সালের শেষার্ধে সিআইডি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। প্রথম ৭ জন আসামির বাইরে এ মামলায় নতুন আসামিভুক্ত হন ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শামসুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন বিশ্বাস, পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি কেএম আক্তারুজ্জামান আক্তার, পাকশীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাহাপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান রাজু, সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, রেজাউল করিম শাহীন, আজিজুর রহমান শাহীন, সেলিম আহমেদ, পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, বিএনপি নেতা ইসলাম হোসেন জুয়েল, শহীদুল ইসলাম অটল, আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।