পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের প্রধান বৈদেশিক শ্রমবাজার সউদী ভিসা সার্ভিস সেন্টার (ড্রপবক্স) নিয়ে বায়রার দু’পক্ষ এখন মুখোমুখি। বায়রার নেতৃবৃন্দ সউদী দূতাবাসের নিয়োগকৃত ভিসা সার্ভিস সেন্টারের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন। সউদী ভিসা সার্ভিস সেন্টার (ড্রপবক্স) সিন্ডিকেট নির্মূল কমিটি দুইটি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকের প্রতিষ্ঠানকে ভিসা সার্ভিস সেন্টারের অনুমতি দেয়ায় তা’বাতিলের দাবিতে মাঠে নেমেছে। বায়রার দুপক্ষের দ্বন্দের জেরে শেষমেষ এই শ্রমবাজার ফের ক্ষতির মুখে পড়তে পারে আশঙ্কা করছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
একটি পক্ষ সউদী সরকারের বেঁধে দেয়া শর্তসাপেক্ষে জনশক্তি রফতানিতে ভিসা সার্ভিস সেন্টারের সাথে একমত হয়েছেন। পাশাপাশি আরেকপক্ষ সউদী শ্রমবাজার সিন্ডিকেটের কবল থেকে রক্ষার দাবিতে এর বিরোধিতায় উঠে পড়ে লেগেছেন। গতকাল শনিবার বিবদমান দু’পক্ষই রাজধানীতে পৃথক পৃথক স্থানে সমাবেশ করেছে।
সউদী ভিসা সার্ভিস সেন্টার (ড্রপবক্স) সিন্ডিকেট নির্মূল কমিটির আহবায়ক আব্দুল আলীম ও সদস্য সচিব কে এম মোবারক উল্লাহ শিমুলের আহবানে গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ড্রপবক্স সিন্ডিকেট বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে আহবায়ক আব্দুল আলীম বলেন,
সউদী সরকার তাদের ভিসা প্রসেসিং এর কাজ সরাসরি বায়রাকে দেয়া যেতে পারে। তবে কোনো চার্জ বা ফি ধরা যাবে না। কারণ একজন বিদেশগামী বিদেশ যাওয়ার আগেই ১০০ টাকা করে বায়রার কল্যাণ তহবিলে জমা করে যায়। নেতৃবৃন্দ বলেন, নূর আলী ও গ্রীণ ল্যান্ডের স্বত্বাধিকারী আব্দুল হাই ভিসা সার্ভিস সেন্টারের নামে ভিসা প্রতি ১১শ’ টাকা করে প্রতি বছর আড়াইশ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সউদী দূতাবাসের কিছু অসৎ কর্মকর্তাও সাথে যোগসাজস করে সিন্ডিকেট চক্র ভিসা সার্ভিস সেন্টারের নামে সউদী শ্রমবাজার নিজেদের দখলে নেয়ার স্বপ্ন দেখছে। এতে বিদেশগামী কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় বেড়ে যাবে। তারা অবিলম্বে সউদী ভিসা সার্ভিস সেন্টার (সিন্ডিকেট) বাতিল করার জোর দাবি জানান। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, কমিটির সদস্য সচিব কে এম মোবারক উল্ল্যাহ শিমুল, ড. মো. ফারুক, মহিউদ্দিন, সমন্বয়ক ফজলুল মতিন তৌহিদ, ফোরাব সভাপতি টিপু সুলতান ও মহাসচিব আরিফুর রহমান আরিফ, মিজানুর রহমান, মঞ্জু, হানিফ, আনোয়ার হোসাইন ও মতিউর রহমান।
অন্যদিকে বেলা ১১টায় রাজধানীর ইস্কাটনস্থ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশর অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) অফিসের সামনে বেলা ১১টায় সউদী শ্রমবাজার রক্ষা পরিষদ এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। সউদী ও বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালার বিরোধিতাকারীদের দেশের শত্রু আখ্যায়িত করে আয়োজকরা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে তাদের প্রতিহতের ঘোষণা দেন। পরিষদের আহ্বায়ক ও সান ওভারসীজের স্বত্তাধীকারী এবিএম শামসুল আলম কাজল বলেন, একটি দীর্ঘ সময়ের জন্য এই বৃহৎ শ্রমবাজারটি বন্ধ ছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে সউদী বাজারটি আবারও উন্মুক্ত হয়।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে যুক্তরাজ্য,কাতার, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে তাদের ভিসা সার্ভিসটি আউট সোর্সিং কোম্পানীর মাধ্যমে প্রদান করছেন। বক্তারা আরো বলেন, গত ২২ জুন বায়রার তত্ত্বাবধানে সউদী ভিসা সেন্টার বিষয়ক একটি আলোচনায় সউদী দূতাবাসের কন্স্যুলার ইবরাহীম আলি আল হুমাইধির সঙ্গে সউদী ভিসা সেন্টার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এ সময় তিনি স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেন, নিরাপত্তা বিষয়টিকে মাথায় রেখেই সউদী পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের বিবেচনায় বাংলাদেশে তার সরকার দুইটি ভিসা সেন্টারের অনুমোদন দিয়েছে। সংগঠনের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রবিন বলেন, ভিসা সেন্টার চালু হলে সউদী দূতাবাসে অনিবন্ধিত প্রায় চারশতাধিক রিক্রুটিং এজেন্সিকে নতুন করে নিবন্ধিত করার আশ্বাস পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, ভিসা স্টিকারের আবেদনের সময়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সংযোজন পদ্ধতি থাকছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।