Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিতে হবে

সংসদে রওশন এরশাদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

আগামী অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাব বাস্তবায়নে জোর দিয়েছেন বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ। গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে রওশন বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যেক দেশেই আছে। আমাদের ব্যবসায়ীদের এই সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিলে বিত্তশালীরা বিনিয়োগ করবেন। না হলে টাকা পাচার হয়ে যাবে। এসব টাকা বিনিয়োগ হলে, শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের কর্মসংস্থান বাড়বে।

জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থ নেই। বেসরকারি খাত ব্যাংক থেকে ঋণ পাচ্ছে না। অথচ বাজেটের ঘাটতি প‚রণে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন। কৃষকদের জন্য প্রণোদনা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ধান বেশি হল, কিন্তু কৃষকরা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। কৃষক শস্য ফলাবে, তার প্রয়োজনীয় টাকা পাবে। কিন্তু তাদের মাথায় হাত। আগুন দিয়ে ধান পুড়িয়ে দিল। তাদের প্রণোদনা দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যেও কৃষকদের শতভাগ ভর্তুকি দেওয়া হয়। কৃষককে কেন ধান ক্ষেতে আগুন দিতে হল। আমি কৃষিমন্ত্রীর কাছে এর জবাব চাই। তিনি বলেন, আমাদের কৃষকরা অনেক দুস্থ। দিন আনে দিন খায়। তাদের জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে হবে। দিনাজপুর পঞ্চগড়ের দিকে বেশি ধান হয়। সেখানে যদি এই অবস্থা হয়! গুদা- সাইলো গড়ে তুলতে হবে।

বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, দেশে কর্মসংস্থান না হল বিনিয়োগ হবে না, বৈষম্যও কমবে না। তাই ধনী-গরীবের বৈষম্য দূর করতে কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। এসময় তিনি টাকার অবমূল্যায়ন করা হলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে ও দেশে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আমরা সমৃদ্ধি সোপানের সিঁড়ি বেয়ে আরো উপরে উঠতে চাই। বাজেটে গরীব-ধনিদের বৈষ্যম যাতে হ্রাস পায় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে হবে। তিনি বলেন, এডিপিতে ঘন ঘন প্রকল্প পরিচালক বন্দী, ঠিকাদারদের হাতে বন্দী থাকায় প্রকল্পে খরচ বাড়ছে। এডিপিতে গৃহীত প্রকল্পগুলো ঠিকভাবে বাস্তবায়ন হতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই অর্থবছরের সময় পরিবর্তন করা উচিত, কারণ বর্ষা মৌসুমে অর্থবছর শুরু হয়। সে কথা মাথায় রেখে প্রয়োজন অর্থ বছর শীতকালে শুরু হলে উন্নয়ন আরো বাড়বে।

বিরোধী দলীয় রওশন এরশাদ বলেন, রাজস্ব আদায় বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জনে সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বাজেটের ঘাটতি পূরণে ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকে নগদ টাকা নেই। সেখান থেকে টাকা নিয়ে ঘাটতি পূরণ করলে বেসরকারি খাত বিনিয়োগের জন্য টাকা পাবে না। ফলে বিনিয়োগ নির্ভর কর্মসংস্থান করতে ঋণ প্রবাহে সমস্যা হবে।

স্বাস্থ্য খাত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুষ ও সরকারি হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে উদ্বোগ প্রকাশ করে বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ না বাড়লে চিকিতসার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বাড়বে। তাই স্বাস্থ্য খাতে বেশি নজর দিতে হবে। এখাতে দুর্নীতি কঠোরভাবে দমন করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ