পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির দলীয় এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, বরাদ্দের বেশির ভাগ লুটপাটে চলে যাচ্ছে। গতকাল সংসদে অর্থবিল, ২০১৯ এর উপর জনমত যাচাইয়ের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, যতটুকু বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে তার বেশির ভাগই চলে যাচ্ছে লুটপাটে। যে কারণে আমরা এখন ব্যাংক খাতে দেখি হাহাকার। ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার ওপর থাকে মন্দঋণ। এক দশকে পাচার হয়ে যায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা। বেগম পাড়া তৈরি হয় কানাডায় অথবা মালয়েশিয়ায় তৈরি হয় সেকেন্ড হোম। দুইদিন আগেই খবর এসেছে সুইস ব্যাংকে নাকি বাংলাদেশিদের ১ বছরে ১৩০০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। অথচ দেখা যাচ্ছে দিনের শেষে সেই ধনীদের তোষণকারী ও গরিবদের বিপক্ষে যাওয়া বাজেট।
তিনি বলেন, এ বাজেট থেকে সরকারের চরিত্র আমরা দেখলাম। দেখলাম রাষ্ট্রের প্রায় লোকের কাছ থেকে সম্পদ পুঞ্জীভূত করে অল্পকিছু মানুষের হাতে দিয়ে দেয়া। তাই দু-একটি খাতে বরাদ্দ কিছু বাড়ানো কিংবা কিছুটা কমানো সরকারের মূল চরিত্রকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করবে না।
রুমিন বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত পরোক্ষ কর ৭২ শতাংশ থেকে কমে ৩০ শতাংশে না আসবে, যতক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষাব্যয় জিডিপির ২ দশমিক ১ শতাংশ থেকে বেড়ে কমপক্ষে ৬ শতাংশে না দাঁড়াবে, যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাস্থ্যব্যয় জিডিপির ১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ শতাংশে না আসবে এবং ৪ কোটি দরিদ্র ও ২ কোটি হতদরিদ্র মানুষের দেশে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যয় ১ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশ না হবে, ততক্ষণ দেশের মূল জনগোষ্ঠীকে এই বাজেট কোনোভাবেই প্রভাবিত করতে পারবে না।
তিনি বলেন, মাননীয় স্পিকার ভূতের নাকি উল্টো দিকে পা থাকে। আমার মনে হয় বর্তমান সরকার উল্টো দিকে যাচ্ছে। যেখানে সংবিধানে পরিষ্কারভাবে মূলমন্ত্রের একটি হচ্ছে সমাজতন্ত্র সেখানে নূন্যতম একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কোনো অঙ্গীকার এই বাজেটের মধ্যে আমরা দেখিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।