পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাজেটে অতি সিনিয়র নাগরিকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। চিঠির কপি গণমাধ্যমের পাশাপাশি তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
বি. চৌধুরী খোলা চিঠিতে তিনি ভারতে এক সমীক্ষার উদারহণ টেনে বলেন, ভারতে বলা হয়েছে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে তাদের জনসংখ্যা শতকরা ১৯ ভাগ। যেহেতু ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কিছু বেশি সেহেতু বাংলাদেশের ষাটোর্দ্ধ জনসংখ্যা ২০ ভাগ হওয়া স্বাভাবিক। অর্থাৎ আমাদের দেশের ৫ ভাগের ১ ভাগ মানুষ জ্যেষ্ঠ নাগরিক। সমাজ এবং সরকারকে এদের জন্য ভাবতেই হবে। তাদের অবদান প্রবীণদের অবদান সমাজ ও রাষ্ট্রে কতটা তা আমাদের সিরিয়াসলি ভাবতে হবে। আসলে না রাষ্ট্র, না সমাজ এ ব্যাপারে তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারে। পেছন ফিরে তাকালে দেখবেন এরা একটি পরিবার গড়েছেন অন্তত ২০ থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত যখন তাদের বয়স ছিল, ভালো স্বাস্থ্য ছিল, তাদের চোখে স্বপ্ন ছিল, সন্তান-সন্ততি গড়ে তুলেছেন, প্রাণপণ পরিশ্রম করেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের অগ্রগতিতে অবদান রেখেছেন।
বি. চৌধুরী বলেন, ৬০ পার হলেই তাদের কতগুলো মারাত্মক ব্যাধি আক্রমণ করতে পারে। যেমন ডায়াবেটিসের বিভিন্ন জটিলতা, হৃদরোগ, মস্তিষ্ক, কিডনি ও লিভারের জটিলতা, নার্ভের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ। এগুলো বয়স্কদের মধ্যে কম বয়সের তুলনায় ১৫/২০ গুণ বেশি। চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়সাধ্য। একদিকে ওষুধের দাম অন্যদিকে পথ্যের দুর্মূল্য এবং মাঝে মাঝে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং বার বার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়ার খরচ, সবমিলে বৃদ্ধদের চরম দুরাবস্থা।
ব্যক্তিগত আয়করের ব্যাপারে তিনি বলেন, জ্যেষ্ঠ নাগরিক এবং অতি জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের করারোপের ব্যাপারে সামাজিক সুবিধা দেয়ার ব্যাপারে ভারত সরকার যে সহানুভূতিশীল এবং দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নিয়েছে, আমাদের বাজেটে তার প্রতিফলন ঘটানো যায় এবং তা হলে সেটা হবে সত্যিকারের সমাজবান্ধব ও দায়িত্বশীলতার পরিচয়। বিশেষ করে জ্যেষ্ঠ ও অতি জ্যেষ্ঠ পেশাদার নাগরিকদের কথা আমাদের স্মরণ রাখা উচিত। এই ক্যাটাগরির শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনজ্ঞ, শিল্পী, প্রকৌশলীসহ পেশাজীবীদের কথা অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে। যৌবনে এবং পরবর্তী পর্যায়ে দিনের পর দিন সমাজ ও রাষ্ট্রকে তারা যা দিয়েছেন জীবন হেমন্তের তার প্রতিদান কি তারা আশা করতে পারেন না? জীবনের পড়ন্ত বেলায় সরকার তাদের বাকি জীবনটাকে সহজ ও সুন্দর করার জন্য জাতীয় বাজেটে শতকরা ২০ জন মানুষের স্বপক্ষে একটা নতুন ধরণের অবস্থান নিতে পারেন না, প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।