পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৪ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) টিএসসি সংলগ্ন সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাষ্কর্যের নিচে আমরণ অনশনরত ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতারা দূর্বল হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় প্রতিবেদন লেখার সময় অনশনের ৩০ ঘন্টা সময় পার হলেও অসুস্থ নেতাকর্মীদের কেউ খোঁজ নিতে আসেননি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ লাভ, পদ শূন্য ঘোষিত ছাত্রলীগের কমিটির ১৯ জনের পদসহ নাম প্রকাশ, পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে পদবঞ্চিতদের মধ্য থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে কমিটিতে পদায়ন এবং মধুর ক্যান্টিন ও টিএসসিতে পদকঞ্চিতদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচারের ৪ দফা দাবিতে অনশন করছেন ছাত্রলীগের একাংশ। এতে সংগঠনটির সাবেক কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ের অনন্ত ৩০জন নেতাকর্মী রয়েছেন।
এরআগে এসব দাবিতে দীর্ঘ এক মাস তিন দিন টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও দাবি পূরণে আওয়ামী লীগ কিংবা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে কোনো আশ্বাস পাননি বলে দাবি তাদের। ফলে দাবি আদায়ে শুক্রবার বেলা ২টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলতে থাকবে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক রানা হামিদ ইনকিলাবকে বলেন, ৩০ ঘন্টা হয়ে গেলেও আমরা দাবি আদায়ে কোন আশ্বাস পাইনি। ইতোমধ্যেই আমাদের ৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাকিরাও খুব দূর্বল। আমরণ অনশনের পর আর কোন কর্মসূচি থাকে না। আমরা প্রয়োজনে সবাই একসাথে মরে যাবো তারপরও দাবি আদায় হওয়ার আগ পর্যন্ত এখান থেকে উঠব না।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজু ভাস্কর্যে আমরণ অনশনকারীরা শুয়ে আছেন। তাদের মধ্যে অনেকে দূর্বল হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রাতে কয়েকজনকে সেলাইন দেওয়া হতে পারে বলে জানায় অনশনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ।
আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কর্মসূচী ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, আমরা এতগুলো ছেলে শুক্রবার দুপুর থেকে অনশন করেছি। অথচ সংগঠন থেকে আমাদের কোনো খোজ নেওয়া হয়নি। আমরা শপথ করেছি ছাত্রলীগকে বিতর্কমুক্ত না করে আমরা সরবোনা। প্রয়োজনে মৃত্যু হবে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বনীকে একাধিকবার কল দিলেও তারা ফোন ধরেননি।
গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলে বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবী ও বিভিন্ন মামলার আসামিদের পদ পাওয়াসহ নানা অভিযোগ এনে তা পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এতে স্থান না পাওয়া ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা। কমিটি ঘোষণার দিনই ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে নিজেদের মধ্যে মারামারি লিপ্ত হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিতর্কিত নেতাদের কমিটি থেকে বাদ দিতে তারা কমিটি ঘোষনার পর থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।