পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ ‘নেত্রী বন্দনা’র সংসদ বলে মন্তব্য করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। গতকাল এক আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক এই মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শহীদ জিয়া স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে ‘জাতীয় রাজনীতি: গণতন্ত্রের মুক্তি’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের সংসদ মানে- একেবারে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এক একাকার। সংসদের মধ্যে একেক জন সদস্য দাঁড়িয়ে কেবল মাত্র নেত্রীর বন্ধনা করেন- সমস্ত প্রশংসা তোমার আর কারো প্রাপ্য নয়। উনি (প্রধানমন্ত্রী) নিজে কথা বলবার সময়ে হাসেন, যাকে প্রশংসা করে বলেন উনিও মিটিমিটি করে হাসেন। উনি (প্রধানমন্ত্রী) আরেক মন্ত্রীর (অর্থমন্ত্রী) বক্তব্য পড়েন, সেই বক্তব্যের মধ্যে তার কথা লেখা আছে, প্রশংসার কথা লেখা আছে। উনি বলতে বলতে বলেন, এটা আমার কথা না, উনার কথা। আমি পড়ে শুনাচ্ছি। কিন্তু নিজের গান। এরকম সার্কাস, এরকম কেরিক্যাচার আগে কখনো দেখেছেন।
এরকম সংসদে শপথ নেয়া ‘বিএনপি’ ও ‘গণফোরামে’র নির্বাচিত সদস্যদের প্রতি ইঙ্গিত করে মান্না বলেন, এরপরেও যদি মনে করেন, আমাদের সেই জায়গায় গিয়ে লড়াই করতে না পারলে বোধহয় আমাদের এই লড়াই কখনো জিতবে না। আমি তাদেরকে বলি, রাজপথের লড়াইয়ের কথা বাদ দিয়ে যারা সংসদের কথা ভাবেন তারা ম‚লত কোনো লড়াই করতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমাদের রাজপথ ছাড়া অন্য কোথাও লড়াই করার জায়গা আছে? সংসদে লড়াই করে জিততে পারবেন? একজন সংসদ সদস্যকে দুই মিনিট কথা বলবার সময় দেয়া হয়, একমিনিট পরে মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়। এরমধ্যে এরকম হয়নি, কথাই বলতে দেয়নি। তারপরে স্পিকার বলেছেন যে, আপনি যে কথা বলেছেন যেটা সংসদীয় পদ্ধতির নয়-এটা এক্সপাঞ্জ করে দিলাম। এর চাইতে দ‚ঃখজনক কী হতে পারে? স্পিকার আগেই বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য আপনি যেসব বলবেন তার মধ্যে যদি অসংসদীয় কোনো কথা-বার্তা থাকে তাহলে কিন্তু বাদ দিয়ে দেবো। আগেই বলেন। কীরকম করে উনি (স্পিকার) জানেন যে সংসদ সদস্য কী বলবেন। উনি কী আগেই কিছু বাদ দেয়ার ক্ষমতা রাখেন?
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনের বিকল্প নেই মন্তব্য করেন আলোচনা সভায় অংশ নেয়া অতিথিদের উদ্দেশ্যে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক বলেন, আপনারা কি মনে করেন আজ থেকে কত দিন পরে আপনাদের দল রাজপথের লড়াইয়ে আসতে পারবে? কেউ মাথা নাড়ান, কেউ মাথা দোলান, কেউ কোনো কথা বলতে পারেন না। আমি জানি, এই কথার জবাব আমি যাদের উদ্দেশ্যে বলব, যারা নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত নেবেন- তারা নিজেরাও ঠিক মতো বলতে পারবেন না। অতত্রব এই পরিস্থিতিতে আমাদের মতো মানুষ, আমাদের মতো ছোট ছোট দলগুলোর কাজ কী? আমি বলব, আপনারা যে যে দল করেন, নিজের দল গুছান। আমরা লড়াইটা গণতন্ত্রের জন্য করি, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধেই করি। তারপর যখন উপযুক্ত সময় তখন প্রতিবাদের জন্য রাজপথে নামব। নিশ্চয়ই রাজপথে গণতন্ত্রের শক্তি লাগবে। আজ হোক, কাল হোক, এই বছর হোক, সামনের বছর হোক, বড় জোর দুই বছর এর মধ্যে আপনাকে নামতে হবে। সেই রকম প্রস্তুতি নিন, সামনের দিকে যান। আমি না পারলে আপনি করবেন, আপনি না পারলে আমি করব- আমি-আপনি না পারলে কেউ যদি না পারি, তৃতীয় কেউ করবে। কেউ না কেউ গণতন্ত্রের সংগ্রাম করবেই। গণতন্ত্র মুক্তি পেলে ‘গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া’ও মুক্তি পাবেন। তাই সকলে আসুন সংগঠিত হয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করি।
সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ইশতিয়াক আহমেদ বাবুলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।