পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাউন্সিল উপলক্ষে ছাত্রদলের মনোনয়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রম এবং বিক্ষুব্ধদের আন্দোলন কর্মসূচি আজ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত থাকছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে আন্দোলনকারীদের সাথে বিএনপির বৈঠকের পর এই ঘোষণা আসে। আজ দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির নিয়মিত বৈঠকে ছাত্রদলের কমিটি গঠনকে ঘিরে সৃষ্ট সংকট নিরসনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। লন্ডন থেকে স্কাইপিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ওই বৈঠকে সংযুক্ত হবেন। তবে ওই বৈঠকে চূড়ান্ত সমাধান না হলে আগামীকাল রোববার থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে টানা কর্মসূচিতে যাবে বিক্ষুব্ধরা।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের মাঝে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নয়াপল্টনে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধদের দিনব্যাপী অবস্থানের কারণে ওইদিন সে কার্যক্রম শুরু হয়নি। পরে সংকট নিরসনে বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়েআন্দোলনকারীদের সাথে বৈঠক করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির চার নেতা। বাকিরা হলেন-মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর রায় ও নজরুল ইসলাম খান। বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের কাছে তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়টি জানতে চান বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা। তখন আন্দোলনকারীরা কাউন্সিলের তফসিল বাতিল এবং বয়সসীমা তুলে দিয়ে নবীন-প্রবীণ সমন্বয়ে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসের স্বল্পকালীন এবং পরবর্তীতে এক বছরের জন্য ছাত্রদলের ধারাবাহিক কমিটি গঠনের সঙ্গে দলের সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি তোলেন। তবে আলোচনার একপর্যায়ে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ এক নেতা বলেন, শেষপর্যন্ত যদি তাদের (বয়স্ক) দিয়ে সংগঠনের নতুন কমিটি গঠন করা সম্ভব না হয়-তাহলে ২০০০ সালের এসএসসি নয়, একেবারে নিয়মিত (অনার্স ও মাস্টার্স) ছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। কারণ ২০০০ সালে যারা এসএসসি পাশ করেছে, তাদের কেউ এখন আর নিয়মিত ছাত্র নয়। তাদের বয়স এখন ৩৫। সিনিয়র নেতারা তখন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধদের জানান, তাদের দাবিগুলো দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে উপস্থাপন করবেন। এর জন্য তাদের দুইদিন সময় দিতে হবে। জবাবে ছাত্রদল নেতারা বলেন, তারা সময় দিতে রাজী আছেন। তবে এই সময়ের মধ্যে সংগঠনের কাউন্সিলের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। তবে বিএনপি নেতারা জানান, কাউন্সিলের ব্যাপারে তারা কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না। এটা একমাত্র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানেন। এ পরিস্থিতিতে ছাত্রদল নেতারা তাদের জানিয়ে দেন, ফরম বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলে তারাও কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন। আর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায়-দায়িত্ব সিন্ডিকেটকেই নিতে হবে। বৈঠক সূত্র আরও জানায়, বৈঠকের একপর্যায়ে সিনিয়র নেতারা ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধদের কাছে জানতে চান- কর্মসূচি চলাকালে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে কেন অপদস্ত করা হলো? তখন বিক্ষুব্ধরা বলেন, তারা এর সাথে কোনোভাবেই জড়িত নয়। ওই সময় তারা কার্যালয় থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিলেন। এ ব্যাপারে আপনারা (সিনিয়র নেতারা) ভিডিও ফুটেজ দেখতে পারেন। তারা আরও বলেন, আন্দোলন কর্মসূচি চলাকালে সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তাছাড়া তাদের অবস্থান কর্মসূচির মধ্যে অনুপ্রবেশও ঘটতে পারে। তাই কারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটা তারা বলতে পারবে না। বরং তারা সেখানে গিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিবকে নিরাপদে কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশে সহায়তা করেন। তখন স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেন, তাহলে তো অন্যের অপরাধ তোমাদের (সংগঠন থেকে বহিষ্কৃতরা) ওপর চাপানো হয়েছে। তবে বৈঠকে আন্দোলনকারীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে। বরং ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধরা সিনিয়র নেতাদের বলেন, বহিষ্কারে তারা ভীত নয়। দাবি না মানলে তাদের কর্মসূচি আবার শুরু হবে। দুইশ’ জনকে বহিষ্কার করলেও কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। সঙ্কটের কোনো সুরাহা ছাড়াই প্রায় দুই ঘন্টার এই বৈঠক শেষ হয়।
জানা যায়, ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধদের সাথে বৈঠক শেষে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সার্চ কমিটির নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। ওই বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে সার্চ কমিটির এক সদস্য ছাত্রদলের আন্দোলনকারীদের এক প্রতিনিধিকে ফোন করে শনিবার পর্যন্ত কাউন্সিলের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকার কথা জানিয়ে তাদেরকে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত রাখতে বলেন। ছাত্রদলের সাবেক ওই নেতা আরও বলেন, শনিবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তখন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ ওই নেতা শনিবার পর্যন্ত তাদের কর্মসূচিও স্থগিত রাখার কথা সার্চ কমিটির সদস্যকে জানান।
জানা গেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ছাত্রদল নিয়ে দলের আগের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলেও কাউন্সিলের পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে। কারণ, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মাঝে ২৭ ও ২৮ জুন মনোনয়ন ফরম বিতরণের কথা থাকলেও তা হয়নি। জানতে চাইলে ছাত্রদলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এবিএম মোশাররফ হোসেন গতকাল শুক্রবার রাতে বলেন, আমরা বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। তবে এখনো কোনো বৈঠক হয়নি। এদিকে ছাত্রদলের কাউন্সিলকে স্বাগত জানিয়ে গতকাল সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল করেছে সংগঠনের পদপ্রত্যাশী নেতারা।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।