পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, ২০১৩ সালে শিক্ষার আধুনিকায়নের নামে নতুন একটি বাতিল বিষয়বস্তু ডারউইনের বিবর্তনবাদ শিক্ষা নবম-দশম শ্রেণী থেকে শুরু করে মাস্টার্স শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই শিক্ষার মাধ্যমে কোমলমতি লক্ষ লক্ষ মুসলিম শিক্ষার্থীর মননে নাস্তিক্যবাদের বীজ এবং চিন্তা-চেতনার বুনন চলছে। এই শিক্ষা চলতে থাকলে এমন আশঙ্কা ভুল হবে না যে, কয়েক প্রজন্ম পর পশ্চিমা উন্নত দেশসমূহের মতো মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশ সকলের অগোচরেই নাস্তিক অধ্যুষিত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এই দেশেও বিয়ে বহির্ভুত যৌন জীবন লিভটুগেদার সামাজিক রূপ পাবে এবং সমকামিতাকে বৈধতা দেয়ার জন্য আন্দোলন শুরু হবে। বাংলাদেশের মুসলমান ও অভিভাবকদের জন্য এটা কতই না ভয়াবহ ও হতাশার বিষয় হবে।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, আমাদের দেশে ২০১৩ সালের পর থেকে গত ৬ বছর ধরে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও ¯œাতকোত্তর স্তরে বিবর্তনবাদ পড়ানো হচ্ছে। যার কারণে দেশের তরুণ শিক্ষিত শ্রেণীর একটা অংশের মধ্যে নাস্তিক্যবাদি চিন্তা-চেতনা প্রচুর বেড়েছে। আরো যদি সামনে ৮/১০ বছর এভাবে চলতে থাকে, তাহলে এদেশেও প্রায় ৩০% মানুষ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করবে না। এখন যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা এগুলো পড়ছে তারা আগামীতে বাবা মা হবে। বাবা মা যদি সৃষ্টিকর্তার ধারণায় সন্ধিহান থাকেন, তবে সন্তানরা কী করবে? অর্থাৎ পরবর্তী প্রজন্ম সবগুলো মাধ্যম থেকে নাস্তিক্যবাদ ধারণা পাবে। পরিশেষে এরাও একসময়ে ধর্মীয় বিধিনিষেধ মানবে না। ধর্মীয় বিয়ে মানবে না। বিয়ে ছাড়াই একসাথে বসবাস করবে। মদ, জুুয়ার বিধিনিষেধ মানবে না। সমকামিতার বৈধতা নিয়ে আন্দোলন হবে। লোকজন আল্লাহ, রাসূল (সা.), ইসলাম নিয়ে কট‚ক্তি করবে। শেষে ধর্মভীরু মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে বড় ধরনের দ্ব›দ্ব বেঁধে যেতে পারে। নীরবেই বিবর্তনবাদের শিক্ষার কারণে জেনারেল শিক্ষিতদের মধ্যে বিশাল নাস্তিক্যবাদি চিন্তার জনগোষ্ঠী তৈরি হয়ে যাবে।আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, এভাবে পুরো জাতির এত বড় সর্বনাশ আমরা করতে দিতে পারি না। আমরা এমন জাতি বিনাশী উদ্যোগ চুপচাপ দেখে যেতে পারি না। তিনি এ বিষয়ে দেশের আলেম সমাজ, অভিভাবকমহল, রাজনীতিবিদ ও জনসাধারণকে সচেতন ও সোচ্চার হওয়ার তাগিদ দেন এবং সরকারের প্রতি অনতিবিলম্বে ‘বিবর্তনবাদ’ শিক্ষা বাতিলের জোর আহŸান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।