পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ সরকার সম্প‚র্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণের মাধ্যমে বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণেই হত্যাকান্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে স্ত্রীর সামনে যুবক রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার বিষয়ে গতকাল তিনি এ কথা বলেন।
বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য জিএম সিরাজকে নিয়ে গতকাল রাজধানীর আগারগাঁয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় তার সাথে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বরকত উল্লাহ বুলুসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে এ ধরনের নৃ:শংস হত্যাকান্ড প্রতিনিয়ত ঘটছে এবং প্রতিদিন খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। বরগুনার এ ঘটনা প্রমাণ করে এ সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্প‚র্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডের সাথে বরগুনার যুবক হত্যাকান্ডের যোগস‚ত্র খুঁজে পান কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, অপরাধী যদি শাস্তি না পায় এবং দলীয় কারণে তারা যদি মুক্ত হয়ে যায় তবে স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য অপরাধীদের ওই দলের ছত্রছায়ায় গিয়ে অপরাধ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এবং সে কারণেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। তিনি বলেন, পরিসংখ্যান খুঁজলে দেখতে পাবেন গত ১০ বছরে যত হত্যা হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে, ধর্ষণ হয়েছে এবং অতিস¤প্রতি যেসব হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তা নজিরবিহীন।
এরকম হত্যাকান্ডের ঘটনা কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা বেড়েছে যেহেতু আইনের শাসন নেই, জবাবদিহিতাম‚লক কোনো সরকার নেই, যেহেতু জনগণ এ সরকারকে নির্বাচিত করেননি, তাই এখানে ন্যায়বিচার নেই এবং বিচারহীনতার প্রবণতা রয়েছে। তাই এধরনের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ দলীয় জোটের শরীক এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, যেকোনো দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি ঘোষণা করার অধিকার আছে, এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে গণতন্ত্র ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যেকোনো উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা জানেন বগুড়া-৬ সংসদীয় আসনটি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী আসন। এখান থেকে তিনি বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। আজ সেই আসনের উপ-নির্বাচনে আমাদের বগুড়ার জনপ্রিয় নেতা জিএম সিরাজ নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা তাকে সাথে নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজার জিয়ারত করলাম। এখানে শপথ নিয়েছি, গণতন্ত্রের যে সংগ্রাম তাকে অব্যাহত রেখে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে জোরদার করবো। আমরা আশা করবো জিএম সিরাজ, যিনি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি পার্লামেন্টে গিয়ে দেশের কথা, জনগণের কথা, বেগম জিয়ার মুক্তির কথা এবং নির্যাতন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলবেন। তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থেই দ্রæত সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।