Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ইজারাদারের কাছে জিম্মি যাত্রীরা

১৬টি ফেরি পয়েন্ট

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

নদ-নদী নির্ভর দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় ফেরি সার্ভিস এখনো সম্পূর্ণভাবেই ইজারাদারের মর্জির ওপর নির্ভরশীল। এ অঞ্চলের ৬টি জেলায় সড়ক অধিদপ্তরের ১৬টি ফেরি পয়েন্টে ইজারাদারের নিজস্ব নিয়মকানুনই শেষ কথা। ফলে এ অঞ্চলের ফেরি পয়েন্টগুলোতে জনগনের দুর্ভোগ এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
সড়ক বিভাগ থেকে এক বছরের জন্য ইজারা নিয়ে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ইজারাদাররা সড়ক অধিদপ্তরসহ সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ফেলে। সব সময়ই ফেরি ঘাটের ইজারাদার সরকারি দলেরই লোক হয়ে থাকেন। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আইন অচল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে রাতের বেলা এসব ফেরি পয়েন্টে ফেরি পারাপার হয় ইজারাদারের ইচ্ছের ওপর।
ফলে রাতের আঁধারে দুর দুরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার যাত্রী ফেরিঘাটগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই প্রতিক্ষার প্রহর গোনে। বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের বেকুঠিয়াতে কঁচা নদী ও বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের লেবুখালীতে পায়রা নদীর ফেরি পয়েন্ট দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও সেখানে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার যাত্রীসহ যানবাহনের চালক ও কর্মীরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। বেকুঠিয়ার ফেরিটি প্রতি ঘন্টায় একবার করে যাত্রী পারাপারের নিয়ম তৈরী করে নিয়েছে ইজারাদার। কিন্তু সে নিয়মই তারা এখন মানছে না। আর ঐ ফেরি পয়েন্টে ৩টি ফেরি থাকলেও ১টিতে কোন ইঞ্জিন নেই।
উপরন্তু রাত ৮টার পরে বেকুঠিয়া ফেরি পয়েন্টে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ সময়ের পরে যানবাহনের চাপ কিছুটা কমতে শুরু করায় ইজারাদার তাদের খেয়াল খুশি মতই ফেরি পরিচালনা শুরু করে। পন্টুনে ফেরি থাকলেও গ্যাংওয়ের মুখে ওয়ার রোপ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ফেরির চালকসহ কর্মীরা অদৃশ্য হয়ে যায়। ফলে যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুয়াকাটা ও ভোলা থেকে আসা যানবাহনগুলো যাত্রীদের নিয়ে ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে। অথচ ঐ ফেরি পয়েন্টের ওপরই বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৬টি জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নির্ভরশীল।
দীর্ঘ দিন ধরে এ অব্যবস্থাপনা অনিয়ম অব্যাহত থাকলেও পরিস্থিতির উন্নতির কোন লক্ষণ নেই। বিষয়টি নিয়ে বরিশাল সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পিরোজপুর ও পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীদের এসব বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জনস্বার্থে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ