বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদের কাছে গতকাল বিকেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত চারটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও দুটি দেশের হাই কমিশনার পৃথকভাবে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। এদের সবাই অনাবাসী দূত।
অনাবাসী রাষ্ট্রদূতরা হলেন- রিপাবলিক অব বেলারুশের আন্দ্রে আই. রেঝেউস্কি, রিপাবলিক অব মালির সেকোউ কাসে, পর্তুগালের কার্লোস জোসে ডি পিনহো ই মেলো এবং আইল্যান্ডের গুদমুন্ডুর আর্নি আতেফানসোন। হাই কমিশনাররা হলেন-রিপাবলিক অব সাইপ্রাসের আগিস লোইজোউ এবং রিপাবলিক অব নামিবিয়ার গ্যাব্রিয়েল পি. সিনিম্বো।
বৈঠকের পর প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রেসিডেন্ট দূতদের স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে দূতদের দায়িত্ব পালনকালে এই দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষত পর্যটন, তৈরি পোশাক (আরএমজি) ও ওষুধ খাতে বাংলাদেশের উজ্জ¦ল সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে নিজ নিজ দেশের স্বার্থে বিদ্যামান সম্ভাবনাগুলো অনুসন্ধানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে প্রেসিডেন্ট তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র বিশেষত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকদের সফর নিশ্চিতের জন্য অনাবাসী রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রেস সচিব আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ আশা প্রকাশ করেন যে এই দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের বিদ্যমান বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো জোরদার হবে। এ সময় দূতগণ বাংলাদেশে তাদের দায়িত্ব পালনে প্রেসিডেন্টের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রেসিডেন্ট তাদের দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রেসিডেন্টর সচিবগণ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দূতগণ বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকশ অশ্বারোহী দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।