প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : ৪০ দিন বয়সী শিশু মারা গেলে কবরে সে আল্লাহর নেগাহবানীতে শান্তিতেই থাকবে। তার রূহ যেহেতু আল্লাহর তত্ত¡াবধানে নিজ ঠিকানায় অবস্থান করবে, সে জন্য কবরে বাচ্চাটির দেহ নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কিছুই নেই। তাছাড়া মাটিতে তার দেহ যেমনই থাকুক, মিছালী জগতে আল্লাহ মুসলমানের সন্তান হিসাবে তাকে ষষ্ঠ আকাশে হযরত ইবরাহীম আ. এর সাহচর্যে নিয়ে রাখতে পারেন। রূহের জগতে তার রূহ থাকবে, মিছালী জগতে সশরীরে সে শিশুদের সাথে থাকবে, পার্থিব জগতে তার দেহ দুনিয়ার কবরে থাকবে। এসব আল্লাহর মহান কুদরতের অকল্পনীয় ব্যবস্থাপনা। খোলা চোখে সীমিত জ্ঞানে মানুষ এত কিছু বোঝে না বলেই পেরেশান হয়। এ বয়সী শিশু মা বাবার জন্য, বিশেষ করে মায়ের জন্য আখেরাতে মুক্তির কারণ হয়ে থাকে। চরম কষ্টের বিষয় বলেই এখানে আল্লাহর ফায়সালায় সন্তুষ্ট থাকা ও ধৈর্য ধরা এত বড় সওয়াবের কাজ। যার প্রতিদান জান্নাত।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।