পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন চীন সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দেশটির একান্ত সহযোগিতা চাইবেন। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হবে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, রোহিঙ্গা সংকটের শান্তিপূর্ণ এবং টেকসই সমাধান বিশেষ করে বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ মিয়ানমার নাগরিককে রাখাইনে তাদের বসতভিটায় ফেরানোর প্রক্রিয়া দ্রুততর করার বিষয়ে চীনের হস্তক্ষেপ চাইবে বাংলাদেশ। ঢাকা চায় মিয়ানমারের ওপর চীনের যে প্রভাব রয়েছে সেটা কাজে লাগিয়ে বন্ধু এবং উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে বাংলাদেশকে তারা এ সংকট উত্তরণে সহায়তা করুক।
সরকার প্রধানের বেইজিং সফরে রোহিঙ্গা সংকটই মুখ্য আলোচ্য হবে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, সফরে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়টিও সমান গুরুত্ব পাবে। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সফরে দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতা জোরদারকরণে সরকারি-বেসরকারি মিলে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ মূল্যের ২৭টি চুক্তি-সমঝোতা এবং অঙ্গীকার সই হয়েছে। এসবের দ্রুত বাস্তবায়নে জোর দেয়া ছাড়াও নতুন করে আরও ৭টি চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের বিষয়ে আলোচনা হবে।
দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের পর ওই সব চুক্তি- সমঝোতা সইয়ের কথা রয়েছে। চুক্তিগুলোর মধ্যে ৩টি ডিপিডিসি সংক্রান্ত। ডিপিডিসি এলাকার বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং শক্তিশালীকরণে একটি ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট, এ সংক্রান্ত প্রজেক্টের পৃথক লোন এগ্রিমেন্ট এবং প্রফেশনাল বায়ার্স ক্রেডিট লোন এগ্রিমেন্ট।
চতুর্থ যে চুক্তিটি হবে সেটি হলো- দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক এবং টেকনিক্যাল কো-অপারেশন জোরদার সংক্রান্ত। পঞ্চমত: বিনিয়োগ সহযোগিতা বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক। ৬ষ্ঠ: ইয়ালো জাংবো বা ব্রম্মপূত্র নদের হাইড্রোলজিক্যাল ইনফোরমেশন শেয়ারিং সংক্রান্ত সমঝোতা এবং সর্বশেষ প্রস্তাবিত চুক্তিটি হচ্ছে- পরস্পরিক সংস্কৃতি বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দিনের সরকারি সফরের আগামী ১লা জুলাই চীন যাচ্ছেন। সফরের সূচনাতে তিনি দেশটির দালিয়ানে (২-৩ জুলাই) বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিবেন। পরে তিনি বেইজিং যাবেন। সেখানে চীনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে বাসস জানিয়েছে, সফরকালে শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং-এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।