পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সকল রুটে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু দেশ যা রুক্তে দিয়ে লেখা। অনেকে দু’টি দেশের বন্ধুতপূর্ণ সম্পর্ক ভাঙ্গার চেষ্টা করেছিল কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। যোগাযোগ ব্যবস্থা যত বেশি সমৃদ্ধ হবে দু’দেশের সম্পর্ক আরো মধুর হবে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কটা অনেক সুন্দর হয়ে গেছে, এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ-ভারত নৌ যোগাযোগ: সম্ভাবনা ও করণীয় শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে কর্মরত ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইমক্যাব) ডায়ালগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ইমক্যাব’র সভাপতি বাসুদের ধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, ইমক্যাব’র সিনিয়র সহ-সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ এবং সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে আমাদের কোন সমস্যা নেই, সমস্যা হওয়ার কথা নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দেশকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য ভারতকে নিয়ে রাজনীতি করেছে। হত্যাকারিরা ভারতকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক বিষয় আনার চেষ্টা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দেশ পরিচালিত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের ১২/১৩ হাজার সৈনিক জীবন দিয়েছে। এক কোটি বাংলাদেশী শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। ভারতের সহযোগিতা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ কতটুকু সহজ হতোÑ ভাবার বিষয়।
খালিদ মাহ্মুদ বলেন, পানি নিয়ে বাংলাদেশের যত সমস্যা তার চেয়ে বেশি সমস্যা ভারতের। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পানি নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে ১৯৭২ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হয়েছিল, সেটি নিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। কিন্তু সে চুক্তি কেউ বাতিল করেনি। সম্পর্কের ক্ষেত্রে দু’দেশের স্বার্থকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। বৈধপন্থায় দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য হচ্ছে। সারাদেশে ভারতের ভিসা সেন্টার চালু হয়েছে। সহজেই যে কেউ ভিসা নিয়ে ভারতে যেতে পারেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রতিনিয়ত কার্গো জাহাজ চলাচল করছে। ক্রুজ সার্ভিস চালু হয়েছে। নৌপথ তৈরিতে ভারত অনেক সহায়তা করছে। বঙ্গবন্ধু নৌপথ সচল রাখতে বিআইডবিøউটিএ’র জন্য ৭টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো নৌপথ খননে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। ২০০৯ সালের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে ড্রেজার সংগ্রহ করার ফলে আমাদের ড্রেজারের সক্ষমতা বৃদ্ধি রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।