পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ নামে নতুন রাজনৈতিক মঞ্চের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমক্রেমিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। জাতীয় মুক্তিমঞ্চ জাতির দুরবস্থা ও জাতীয় সমস্যা সমাধানে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কর্নেল অলি বলেন, নতুন এই রাজনৈতিক মঞ্চ রাজনৈতিক কোনো জোট নয়। দেশপ্রেমিক যে কেউ এ মঞ্চে আসতে পারবেন। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তি মঞ্চের পক্ষ থেকে সরকারের উদ্দেশ্যে ১৮টি দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং নতুন করে জাতীয় নির্বাচনের দাবি রয়েছে শুরুতে। কর্নেল অলি বলেন, এটি কোনো রাজনৈতিক জোট নয়। এখানে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের যারা দেশ এবং সমাজের বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন চান তারা সবাই থাকতে পারবেন।
২০ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক অলি আহমেদ বলেন, আমাদের কর্মসূচি হবে শান্তিপ‚র্ণ। লক্ষ্য হবে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা ও জনগণের সরকার গঠন। আমরা আশা করি আমাদের এ কর্মসূচিতে জনগণ এবং সববিরোধী দল নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমর্থন দেবেন এবং সহযোগিতা করবেন। লিখিত বক্তব্যে অলি আহমেদ জানান, তাদের কর্মসূচিতে কোনোও ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাÐ থাকবে না। সববিরোধী দল এবং বিবেকবান মানুষকে এতে অংশ নেয়ার তিনি আহŸান জানান। ১৮ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ দেশবিরোধী চুক্তি প্রকাশ, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষা, জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিশন গঠন, গুম-খুন বন্ধের পদক্ষেপ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।
নতুন এই মঞ্চে জামায়াতের নেতাকর্মীরা থাকবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের জামায়াত আর ২০১৯ সালের জামায়াত এক নয়। দেশকে তারা অনেক ভালোবাসে, তাদের মধ্যে অনেক সংশোধনী এসেছে।
লিখিত বক্তব্য শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে অলি আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সব দলকে আমরা সঙ্গে নেবো। আপনি আমার কথা লক্ষ্য করেননি। কোনোও জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করলো কারা, অন্যের ঘাড়ের ওপর বন্দুক রেখে কথা বলা ঠিক না। সব সময় আমি অন্যকে দোষ দিয়ে আগাবো এটা ঠিক না। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ১৯৭১ সালের জামায়াত এবং ২০১৯ সালের জামায়াত এক নয়। দেশকে তারা অনেক ভালোবাসে, তাদের মধ্যে অনেক সংশোধনী এসেছে। অলি আহমেদের দাবি, জামায়াত নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তারা দেশপ্রেমিক শক্তি। যারা দেশকে ভালবাসে, দেশকে মুক্ত করতে চায়, দেশবাসীকে মুক্ত করতে চায়, যারাই আমাদের সঙ্গে আসতে চাইবে তাদেরকে আমরা সঙ্গে নেবো। তবে দালাল বেঈমানদের না।
এসময় এক সাংবাদিক ‘দালাল-বেঈমানদের’ পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কারা যে দালাল-বেঈমান এটা কারও অজানা না। আমাদের অনেকে দালালি করেছে বলে আজকে জাতির এই অবস্থা। আমাদের সঙ্গের সিনিয়র লোক তাদেরকে চেনেন, তারা জানেন গত ১০-২০ বছর ধরে কীভাবে তারা দালালি করছে।
১৮ দফা দাবি আদায়ের জন্য আর কিছু করবেন কিনা জানতে চাইলে অলি আহমেদ বলেন, ‘দিস ইজ দ্য বিগিনিং! আগে আগে দেখেন কি হয়। এখানে সব মুক্তিযোদ্ধা, কোনোও দালালদের কাজ না।
আওয়ামী লীগ সরকার না মানলে এই ১৮ দফা দাবি কার কাছে করছেন, জানতে চাইলে অলি আহমেদ বলেন, যেহেতু তারা সরকারে আছে তাদেরকেই বলছি যতো তাড়াতাড়ি পারেন, নিজের ভুল উপলব্ধি করে পুনরায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।
নির্দিষ্ট কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে অলি আহমেদ বলেন, এটাই তো নির্দিষ্ট কর্মস‚চি। গত ১০ বছরে এরকম কর্মসূচি কেউ দিয়েছে? এটাই আমাদের কর্মসূচি, এটা নিয়েই আমরা জনগণের কাছে যাবো। আমাদের এই জাতীয় মুক্ত মঞ্চ কোনও ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিতে সমর্থন দেবে না। কোনোও সন্ত্রাসী কর্মকাÐ কাউকে সাহায্য করব না। জনগণকে ভয় দেখানো যাবে না। সরকারকে বোঝাতে হবে আপনারা ভুল পথে আছেন।
১৮ দফা অতীতে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে কখনও দেওয়া হয়নি দাবি করে অলি আহমেদ বলেন, শুধু সবার একটাই দাবি ছিল খালেদা জিয়ার মুক্তি। আমি যখন বলা শুরু করেছি মধ্যবর্তী নির্বাচন চাই, তখন সবাই বলা শুরু করেছে। আসলে আমি টেস্ট করার জন্য বলেছিলাম। মধ্যবর্তী নির্বাচন শুদ্ধ কথা নয়, পুন:নির্বাচন শুদ্ধ কথা।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন এলডিপির যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা আহমদ আলি কাসেমী, ইসলামী সঙ্গীত শিল্পী মুহিব খান। মঞ্চে না বসলেও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপিতে যোগদান করা আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।