পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আষাঢ় মাসে চৈত্রের কাঠফাঁটা রোদে পুড়ছিল রাজধানীসহ সারা দেশ। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষের জীবন। অবশেষে দমকা হাওয়ার সঙ্গে ঝুম বৃষ্টি মানুষের মনে এনে দিয়েছে সাময়িক প্রশান্তি। তীব্র তাপদাহে আমন ও পাট চাষ নিয়ে চলমান শঙ্কা দূর হয়ে কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। স্বস্তি পেয়েছে প্রাণিক‚লেও। আবহাওয়াবিদ মো. রুহুল কুদ্দুস জানান, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৩ মি.মি. বৃষ্টি হয়েছে। আগামী তিনদিন বৃষ্টিপাতের প্রবনতা বৃদ্ধি পেতে পারে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে এ প্রতিবেদন :
খুলনা জানায়, দীর্ঘ খরতাপে অতিষ্ঠ নগরবাসী গতকাল দুপুরে বৃষ্টি শুরুর পর ফিরে পেলো স্বস্তি। এসময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত এবং হালকা দমকা বাতাসও বয়ে যায়। বৃষ্টিতে নগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পথ চলতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে এরপরও সবার চোখেমুখে ছিলো স্বস্তি। অনেকেই স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছেন।
এদিকে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা নয়, যেন কাদা পানির ডোবায় পরিণত হয়েছে নগরীর অনেক সড়ক। আবার কোথাও কাদা পানির সঙ্গে আবর্জনায় ভরে গেছে। ছোট-বড় খানাখন্দে বেহাল দশায় পড়েছে নগরবাসী। বিশেষ করেন খান জাহান আলী রোডের রয়্যালের মোড়, শান্তিধামের মোড়, শামসুর রহমান রোড, বাইতিপাড়া, মৌলভীপাড়া, মিয়াপাড়া, দোলখোলা, মিস্ত্রিপাড়া, টুটপাড়ায় রাস্তায় পনি জমে যাওয়া পথচারীরা পড়েছেন বিপাকে।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া কার্যালয়ের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে আষাঢ়ের অবিরাম বৃষ্টি মতো এ বৃষ্টি বেশি সময় স্থায়ী হবে না। দুই-তিন ঘণ্টা হয়ে থেমে যাবে। আবার শুরু হবে।
পাবনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, মে থেকে জুন মাসের শেষার্ধ এবং মধ্য আষাঢ় মাস পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়ানো তাপদাহের তেজ কমেছে, নেমেছে কাক্সিক্ষত স্বস্তির বৃষ্টি। গত বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি গতকাল দিনে চলমান রয়েছে। জনজীবনে স্বস্তির পাশাপাশি কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।
মাঠ জুড়ে আমন-আউশ-পাটের আবাদ। মধ্য আষাঢ়ে বৃষ্টি না হওয়ার ফলে ফলন-আবাদ নিয়ে তারা শঙ্কায় ছিলেন। জেলাব্যাপী কৃষকদের মধ্যে চলমান শঙ্কা দূর হয়েছে। পাবনা সদর উপজেলার কৃষক সাদেক, হান্নান জানান, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে বিশেষ করে আমন ও পাট নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। অবশেষে আজ বৃষ্টি হওয়ায় বিরূপ অবস্থা কেটে গেছে।
তাদের মতে, আরও দুই থেকে চারদিন বৃষ্টি হলে আরও ভাল হয়। আমন ধান ও পাট বেড়ে উঠবে। আমনে আসবে শীষ। পাট কাটলে জাগ দেওয়ার জন্য নদী, খাল-বিলে পানি পাওয়া যাবে। পাবনা জেলা কৃষি খামার বাড়ীর উপ সহকারি কৃষি অফিসার শেখ জামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বৃষ্টি হওয়ায় বোনা আমন ও পাটের জন্য ভালো হয়েছে। পানি বাড়ার সাথে বোনা আমও বৃদ্ধি পায়। আবহাওয়া অনুকূলে আসায় কৃষকের জন্য ভালো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।