পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার আগামী ৫ বছরে দেড় কোটি কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা করেছে। রোহিঙ্গারা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে বলে জানান তিনি। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কাজ। এ জন্য ব্যাপক শিল্পায়নের মাধ্যমে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন জেলায় ৮৮টির স্থানীয় নির্বাচন শেষ হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতোমধ্যে ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় উন্নয়ন ও সব শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় রেখেই সরকার পর্যায়ক্রমে দেশের কওমি মাদরাসা শিক্ষাকে মূল স্রোতধারায় আনতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম কওমি শিক্ষা মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে পারবে। কিশোরগঞ্জ-২ আসনের নূর মোহাম্মদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রæত প্রত্যাবাসন করা না গেলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত হতে পারে। বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারে মৌলিক অধিকার বঞ্চিত এই বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা অধিবাসীরা অসন্তুষ্টিতে ভুগছে। তাদের রয়েছে অনেক অভাব-অভিযোগ। এদের অতি দ্রæত ফেরত পাঠাতে না পারলে আমাদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের এসব নাগরিক এখানে স্বেচ্ছায় আসেননি। সেদেশের সেনাবাহিনী তাদের জোর করে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করেছে। নির্মম নির্যাতনের শিকার এসব মানুষের খাদ্য, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবাসহ মৌলিক মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি ছিল। এজন্য আমরা তাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়েছি। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও স্থানীয় এনজিও’র সঙ্গে সমন্বয় করে এই বিপুল সংখ্যক নাগরিককে আমরা আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদান করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাখাইন রাজ্যে যথাযথ সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মহল মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে। আমরা বারবার বিভিন্ন ফোরামে বলেছি, এসব বাস্তুচ্যুত জনগণকে ফেরত নেয়ার বিষয়টি মিয়ানমার সরকারের ওপর বর্তায় এবং তাদেরকেই উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, মিয়ানমার সরকারের অনড় অবস্থানের কারণে দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি হয়নি। উপরন্তু, মিয়ানমার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে এবং বলছে, বাংলাদেশের অসহযোগিতার কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিলম্ব হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব জনমত ও আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় অব্যাহতভাবে আমাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ এ বিষয়ে মানবাধিকার কমিশনে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার সরকার তাদের এ বিষয়ে কাজ করতে দিচ্ছে না। মিয়ানমারের অসহযোগিতা সত্তে¡ও আমরা দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় দুটি পথই খোলা রেখেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।