পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিসিএস, ব্যাংক ও বিভিন্ন সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগের মামলায় ৭৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থ ও রয়েছে।
গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে দায়ের হওয়া মামলায় চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। একইসঙ্গে আসামিদের গ্রেফতার করা গেল কি না এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগামী ৩০ জুলাই দাখিলের দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিকে একই ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন দায়ের হওয়া মামলার চার্জশিটটি সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দিয়েছেন বিচারিক আদালত। এর আগে ২৩ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি সুমন কুমার দাস এ চার্জশিট দাখিল করেন। প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত প্রশ্নফাঁস মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখির করে সিআইডি। দুটি পৃথক আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চারটি চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটগুলোর নম্বর- ১১০, ১১০ (ক), ১১০ (খ) ও ১১০ (গ)।
গত ৩০ মে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চার্জশিটের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর গণমাধ্যমকর্মীদের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে ঢাবির দুটি আবাসিক হলে অভিযান চালিয়ে মামুন ও রানা নামে দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পরদিন পরদিন পরীক্ষার হল থেকে গ্রেফতার করা হয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী রাফিকে। পরে তদন্তে উঠে আসে, চক্রটি পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রিন্টিং প্রেস থেকে ঢাবি’র ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করত। শেষ পর্যন্ত এই চক্রের ২৮ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে প্রশ্নপত্র ফাঁসচক্রের ১২৫ জনকে শনাক্ত করে। চার্জশিটের এবং মামলার নথির তথ্য অনুযায়ী ১২৫ জন আসামির মধ্যে বিভিন্ন সময় ৪৭ জন গ্রেফতার হন এবং তারা সবাই জামিনে রয়েছেন। এদের ৪৬ জনই প্রশ্নফাঁসের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।