পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নেছারাবাদে মাহির হোসেন (৩৬) নামে এক যুবকের ছুরিকাঘাতে সোহাগদল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন (৪৫) নিহত হয়েছেন। ঘাতক মাহির হোসেন ওরফে মাহির পাল (৩৬) কে আটক করেছে পুলিশ। ঘাতক মাহির একজন মস্তিস্কবিকৃত মানুষ বলে এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ সহ প্রতিবেশিরা জানিয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ন’টার দিকে উপজেলার মধ্য সোহাগদল এলাকায় (যদুরভিটা) এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত জাকির উপজেলার সোহাগদল গ্রামের মৃত মুনসুর আলী মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার সোহাগদল গ্রামের (বরছাকাঠি) এলাকার মৃত আব্দুল গনি মিয়ার (গনি পাল) ছেলে মাহির মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর একই এলাকার সেকেন্দার মিয়ার ছেলে মো. আসলাম হোসেনকে ছুরিকাঘাত ও মো. লুৎফর রহমানের ছেলে মশিউর রহমানকে মেরে পালিয়ে গিয়ে যদুরভিটা এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে আত্মগোপন করে। এ সময় নিহত জাকির তার খালোতো ভাই সেলিমের নির্মাণাধীন ওই ভবনের রাজমিস্ত্রীসহ কাজ দেখার জন্য ওই স্থানে যায়।
তখন তোরা কেন এসেছিস বলে মাহির জাকিরের বুকের বাম পাশে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। পরে মাহির পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে নিজের গলায় নিজে চাকু দিয়ে পোচ দেয়। স্থানীয়রা জাকির ও মাহিরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাকিরকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত মাহিরকে বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে।
সোহাগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ জানান, মাহির একজন নেশাগ্রস্থ যুবক। তাকে বিভিন্ন সময় বাড়িতে শিকল দিয়ে বেধে আটকিয়ে রাখা হত।
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক মাহির পুলিশ হেফাজতে বরিশালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে ঘাতক মাহির পাগল কিনা তা ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়া বলা যাবে না। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।