পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এরশাদ আবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়মিত চেকআপ করতে গেলে তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে ভর্তি করা হয়। জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের জানান, বুধবারই সকালে এরশাদ সিএমএইচ-এ ভর্তি হন।
রাজধানীর মতিঝিলের এজিবি কলোনীর এক সেন্টারে জাতীয় পার্টির সংগঠনিক কর্মসূচিতে জিএম কাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শরীর ভালো নেই। তিনি সকালে সিএমএইচে গেছেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা জানিয়েছেন, বর্তমানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এরশাদ।
তবে এরশাদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা জানান, স্যার (এরশাদ) রুটিন চেকআপের জন্য নিয়মিত সিএমএইচে যান। সেখানে তার চিকিৎসা হয়। যখন খারাপ লাগে তখনই উনি সিএমএইচে যান। এর আগে মশিউর রহমানা রাঙ্গা জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় এরশাদ একাই থাকেন। মাঝে মাঝে রাতে ভয় করেন। যখন ভয় লাগে তখন তিনি সিএমএইচ-এ চলে যান।
এরশাদ দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ। তার সঙ্গ এখন হুইল চেয়ার। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সামনে সর্বশেষ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেন এরশাদ। এরপর অসুস্থতার কারণে আর কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেননি। নির্বাচনের আগে ৬ ডিসেম্বর গাড়িতে করে অফিসের সামনে এলেও সেখানে বসে কথা বলেই চলে যান। নির্বাচনের আগে ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান এরশাদ। ভোটের মাত্র ৩ দিন আগে ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরলেও নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে যোগ দেননি। এমনকি নিজের ভোটও দিতে রংপুর যেতে পারেননি সাবেক এই নেতা।
ভোটের পর শপথ নেন আলাদা সময়ে গিয়ে। সেদিনও তাকে স্পিকারের কক্ষে হাজির হয়েছিল হুইল চেয়ারে বসে। গত ২০ জানুয়ারি ফের সিঙ্গাপুরে যান চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে ফেরেন ৪ ফেব্রুয়ারি। বিরোধী দলের নেতা হলেও শারীকির অসুস্থতার কারণে সংসদে যোগদান করতে পারছেন না। সংসদ অধিবেশনে মাত্র একদিনের জন্য হাজির হয়েছিলেন তাও হুইল চেয়ারে ভর করেই। এমনকি এখনো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায়নি। অনেক দিন ধরেই জনসম্মুক্ষে আসছেন না সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।