পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিন বছরেও শেষ হয়নি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট দুর্নীতির অনুসন্ধান। অকাট্য প্রমাণ হস্তগত হওয়া সত্তে¡ও দুদক কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেননি। একের পর এক কর্মকর্তা পরিবর্তনের মাধ্যমে কেবল কালক্ষেপণই করা হচ্ছে। দুদক সচিব দিলোয়ার বখত এ বিষয়ে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত নই।’ দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার সময়সীমা থাকলেও পাসপোর্টেও ১১ শ’ কোটি টাকার দুর্নীতি এখনও শেষ না হওয়ার বিষয়টি ‘রহস্যজনক’ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের প্রশ্ন-আলোচিত এই দুর্নীতির অভিযোগ শেষ হবে কবে ?
দুদকের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য ২০১০ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ৮০ কোটি টাকার এমআরপি প্রকল্পটিকে পরে ১১শ’ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। পরে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন নিয়ে দেখা দেয় প্রশ্ন। অভিযোগ ওঠে নিম্নমানের পাসপোর্ট বই কেনার বিপরীতে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার । যা ‘ডি-লারু কেলেংকারি’ হিসেবে খ্যাত।
দুর্নীতি দমন কমিশন ২০১৬ সালে অভিযোগটি তদন্তের জন্য হাতে নেয়। দুই হাত ঘুরে তৎকালিন উপ-পরিচালক ফরিদ আহম্মেদ পাটোয়ারির হাতে আসে অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য। দুদক বিধিমালা-২০০৭ অনুযায়ী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ হওয়ার কথা। এর মধ্যে সম্পন্ন না হলে আরো ১৫ কার্যদিবস সময় বাড়ানোর বিধান রয়েছে। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করতে না পারায় সে সময় কমিশন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সাড়ে ৭শ’ কারণদর্শানোর নোটিস দেয়। তবে সময়সীমার মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করতে না পারলেও ডি-লারুর অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে বিষয়টি ছিলো ব্যতিক্রম।
অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় উপ-পরিচালক ফরিদ আহম্মেদ পাটোয়ারি বেশকিছু রেকর্ডপত্র জব্দ করেন। কেনাকাটায় সংশ্লিষ্ট পাসপোর্টের অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সবশেষ তিনি ডি-লারুর সরবরাহকৃত পাসপোর্টের নমুনা উচ্চতর পরীক্ষাও সম্পন্ন করেন। সায়েন্স ল্যাবরেটরির ডিজিগনেটেড রেফারেন্স ইন্সটিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (ডিআরআইসিএম) রিপোর্টও তিনি হাতে নেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি কমিশনে পরিপূর্ণ প্রতিবেদন দাখিল করেননি।
এরই মধ্যেই ফরিদ আহম্মেদ পাটোয়ারিকে প্রেষণে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়া হয়। ফাইলটি চলে আসে উপ-পরিচালক মো. সফিউল্যাহর হাতে। তার টেবিলে ফাইলটি পড়ে থাকে সাড়ে ৭ মাস। বর্তমানে এটি উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজের টেবিলে রয়েছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে তিনি আরো কিছু রেকর্ডপত্র চেয়ে পাসপোর্ট অধিদফতরে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় ২০১৩ সালে টেন্ডারের মাধ্যমে ইংল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি ‘ডি-লারু’র সঙ্গে চুক্তি হয় সরকারের। ২০১৫ সালে আড়াইকোটি পাসপোর্টের মধ্যে দেড় কোটি পাসপোর্ট বই পাসপোর্ট অধিদফতরকে বুঝিয়ে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু ডি-লারুর সরবরাহ করা পাসপোর্ট বইগুলোর প্রাথমিক পরীক্ষায়ই নিম্নমানের বলে ধরা পড়ে।
বইগুলো ছাপানোর সময় প্রতিদিন ২ থেকে ৩শ’ বই নষ্ট হয়ে যায়। টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী প্রতিটি বইয়ে ৫২টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকার কথা। বাস্তবে আছে ৩২টি। গুরুত্বপূর্ণ ২০টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য কম দেয়ার বিনিময়ে ‘ডি-লারু’ প্রথম দফায়ই পাসপোর্টের তৎকালিন মহাপরিচালক, প্রকল্প পরিচালক, টেকনিক্যাল কমিটি, একসেপ্টেন্স কমিটিকে ৩৫ কোটি টাকা দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। টেন্ডারে তিন ধরণের পাসপোর্ট বই কেনা হয়। সাধারণ পাসপোর্ট, অফিসিয়াল পাসপোর্ট এবং ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট বই। বইগুলোতে নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য না থাকার কারণে সহজেই জাল-জালিয়াতি করা সম্ভব হয়।
এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে হাজার হাজার অফিসিয়াল পাসপোর্ট জাল হয়। সাধারণ মানুষের হাতে চলে যায় কয়েক হাজার অফিসিয়াল পাসপোর্ট। এ নিয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের পরষ্পর চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে বিষয়টি গণমাধ্যমে চলে আসে। দুদকের অনুসন্ধানেই বেরিয়ে ভয়াবহ দুর্নীতি। কিন্তু এ দুর্নীতির সঙ্গে কয়েকজন রাঘব বোয়াল জড়িত থাকায় সংস্থাটি মামলা রুজুতে ‘ধীরে চলো’ নীতি অনুসরণ করে।
সূত্র মতে, ডি-লারু কেলেংকারির দুর্নীতি প্রমাণে দুদকের হাতে আসা রেকর্ডপত্রই যথেষ্ট। অফিসিয়াল পাসপোর্ট জালিয়াতির অনুসন্ধানে নেমে ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর দুদক ‘ডিজিগনেটেড রেফারেন্স ইন্সটিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্ট’র মেজারমেন্ট সার্ভিস সেকশনকে (এমএসএস) তিন ধরণের পাসপোর্টের নমুনা কপি দেয়। একইবছর ১৪ ডিসেম্বর মেজারমেন্ট সেকশন দুদকে প্রতিবেদন দেয়।
এ হিসেবে আড়াই বছর আগেই দুদকের হাতে মামলা দায়েরের প্রমাণাদি চলে আসে। ডিআরআইসিএম’র কাছে পাসপোর্টের ১৪৭টি স্পেসিফিকেশন যাচাই করার জন্য দেন তৎকালিন অনুসন্ধান কর্মকর্তা। প্রতিষ্ঠানটির মেজারমেন্ট সার্ভিস সেন্টার (এমএসএস টেন্ডারে উল্লেখিত স্পেসিফিকেশন যাচাই করে। নমুনা পাসপোর্টগুলো হচ্ছে, সাধারণ পাসপোর্ট (নং-বিএম-০৫৯১০০১), অফিসিয়াল পাসপোর্ট (নং-বিএমজি-০০২৩০০১) এবং একটি ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট (নং-০০০৭) । এমএসএস’র পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় টেন্ডারে উল্লেখিত স্পেফিকেশন এবং ডি-লারু’র সরবরাহকৃত এমআরপি পাসপোর্ট বইয়ে আকাশ-পাতাল ব্যবধান।
টেন্ডার স্পেসিফিকেশনে বলা হয়েছে, এমআরপি পাসপোর্ট বইয়ের পেছনের কভার পৃষ্ঠার সিকিউরিটি ফাইবার হবে ৭০ থেকে ৭৫টি। পরীক্ষায় মিলেছে ২৫ থেকে ৩০টি সিকিউরিটি ফাইবার। স্পেসিফিকেশনের অর্ধেকের কম ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পাসপোর্ট বই। টেন্ডারে ‘ভিসা পেজ’র ১৯ নম্বর স্পেসিফিকেশনে বলা হয়েছে, এমআরপি বইয়ে ‘রেইন বো প্রিন্টিং’ থাকতে হবে। এমএসএস’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘নন-কমপ্লায়েন্ট’। অর্থাৎ কোনো রেইনবো প্রিন্টিং নেই। ২১ নম্বর স্পেসিফিকেশনে বলা হয়েছে বইয়ে ‘ইন্টিগ্রেটেড পেজ নম্বর’ থাকতে হবে, যা ইউভি লাইটে দেখা যাবে। ডি-লারু স্যাম্পলে ‘ইন্টিগ্রেটেড পেজ নম্বর’ দেখালেও সরবরাহকৃত বইয়ে সেটি পাওয়া যায়নি। ফলে সহজেই এমআরপি পাসপোর্ট জাল হচ্ছে।
এমএসএস’র রিপোর্টে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘নন-কমপ্লায়েন্ট’। ২৬ নম্বর স্পেসিফিকেশনে বলা হয়েছে, প্রতি পৃষ্ঠায় ৬০ থেকে ৬৫টি ‘সিকিউরিটি ফাইবার’ থাকতে হবে, যা ইউভি লাইটে দেখা যাবে। কিন্তু ডি-লারু স্যাম্পল বইতেই সাধারণ পাসপোর্টে ২৫ থেকে ৩০টি সিকিউরিটি ফাইবার দিয়েছে। সরবরাহ করা বইয়ে পাওয়া গেছে ২০ থেকে ২৫টি ফাইবার। অফিসিয়াল পাসপোর্টের স্যাম্পলে দেয়া হয় ২৫ থেকে ৩৫টি। সরবরাহ করা বইয়ে মিলেছে ২৫ থেকে ৪০টি করে ফাইবার। ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট বইয়ের স্যাম্পলে ছিলো ২৫ থেকে ৩৫টি ফাইবার। পরীক্ষায় মিলেছে ২৫ থেকে ৪০টি। গড়ে ৪০টি ফাইবার কম দিয়ে বই সরবরাহ করা হয়েছে।
পাসপোর্টের টেন্ডার স্পেসিফিকেশনের ৪০ নম্বরে (বায়োডাটা পেজ) রেইনবো প্রিন্ট থাকার কথা বলা হয়েছে। যা ইউভি লাইটে দেখা যাবে। কিন্তু ডি-লারু স্যাম্পলেই এটি দেয়নি। সরবরাহকৃত বইয়েও এটির অস্তিত্ব মেলেনি। এমএসএস রিপোর্টে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘নন-কমপ্লায়েন্ট’। টেন্ডারের ৪৪ নম্বরের চাহিদা অনুযায়ী পাসপোর্ট বইতে ৮৫ থেকে ৯০টি সিকিউরিটি ফাইবার থাকতে হবে। সাধারণ এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টের স্যাম্পলে এটি আছে ৩৫ থেকে ৪০টি। ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্টে আছে ৩৫ থেকে ৪০টি। টেন্ডারের ৪৫ নম্বর স্পেসিফিকেশনে রয়েছে সেকেন্ডারি পোট্রেট (ঘোস্ট ইমেজ), যা ইউভি লাইটে দেখা যাবে। সরবরাহ করা কোনোপ্রকার পাসপোর্ট বইতেই এটির অস্তিত্ব নেই। এমএসএস’র রিপোর্টে বলা হয়েছে ‘নন-কমপ্লায়েন্ট’।
টেন্ডারের ৪৬ নম্বর স্পেসিফিকেশনে রয়েছে ইউভি পাসপোর্ট নম্বর। এটি ডি-লারুর স্যাম্পলে নেই, সরবরাহও করেনি। পাসপোর্ট টেন্ডারের ১৩ নম্বর স্পেসিফিকেশনে বলা হয়েছে, বইয়ের শুধুমাত্র ফ্রন্ট কভার হবে ১৩ মাইক্রোনের সোনালি ফয়েল এমবোসিং। পুরুত্ব হবে ৩৫০ মাইক্রন। এমএসএস’র রিপোর্ট বলছে ‘নট-পারফর্মড’, অর্থাৎ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী গোল্ডেন এমবোসিং দেয়া হয়নি। ডাটা পেজ ব্যতিত পেজের ডিজাইন সংক্রান্ত ৩৭ নম্বর স্পেসিফিকেশনে আছে রেইনবো প্রিন্টিং, এন্টি স্ক্যান প্যাটার্ন (স্টার টাইপ)।
বইটি যাতে স্ক্যানিং করা না যায় সে লক্ষ্যে এন্টি স্ক্যান প্যাটার্ন রাখা হলেও সরবরাহ করা ডি-লারুর কোনো রকম পাসপোর্টেই এটি নেই। ফলে বর্তমান এমআরপি পাসপোর্ট বইগুলো সহজেই স্ক্যান করে জাল করা সম্ভব। ৩৮ নম্বর ‘প্ল্যানচিস্ট’ সম্পর্কে এমএসএস’র রিপোর্টে বলা হয়েছে ‘নন-কমপ্লায়েন্ট’। টেন্ডারে ‘হাই সিকিউরিটি পেপার’ ৩৯(১) নম্বর স্পেসিফিকেশনে বলা হয়েছে, ইউভি লাইটের স্পর্শকাতর তন্তু, অদৃশ্য হলুদ, নীল এবং লাল কালি। ফাইবারের দৈর্ঘ্য হবে ৩/৩.৫ মিলিমিটার। ফাইবারের পুরুত্ব হবে ২০/২৫ ডেসিটেক্স। ওজন হবে ৯৮ গ্রাম। সাধারণ পাসপোর্টের স্যাম্পলে রয়েছে ৯৯.২ গ্রাম, সরবরাহ করা হয় ৯৬.৬ গ্রাম। অফিসিয়াল পাসপোর্টের স্যাম্পলে ৯৮.৮ গ্রাম সরবরাহে ৯৯.২ গ্রাম এবং ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্টের স্যাম্পলে ১০০.২ গ্রাম এবং সরবরাহে ৯৫.৯ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখানে চিকন ফাইবার দিয়ে পেজের পুুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে। ৪০ নম্বর স্পেসিফিকেশনে ইনার কভার পেজ ৫০ শতাংশ কটন এবং ৫০ সেলুলজ দেয়ার কথা থাকলেও সেটি দেয়া হয়নি।
এমএসএস’র প্রতিবেদনে বলা হয় ‘নট পারফর্মড’। এর ফলে বইগুলো তাপামাত্রার তারতম্য ঘটলেই টিউবের মতো বেঁকে যায়। ৭৩ নম্বর স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী পেজ নম্বরে ইন্টিগ্রেটেড ব্যাকগ্রাউন্ড থাকার কথা। কিন্তু ডি-লারু সাধারণ পাসপোর্টের স্যাম্পলেই এটি দেয়নি। সরবরাহকৃত সাধারণ পাসপোর্টেও এটি নেই। উচ্চতর পরীক্ষায় এরকম অসংখ্য বিচ্যুতি পাওয়া যায়।
দুদকের দীর্ঘসূত্রিতা সম্পর্কে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কেন সময়ক্ষেপন করছে এটি দুদকই ভালো বলতে পারবে। তবে বিধি মোতাবেক কার্যক্রম পরিচালিত হলে এতটা সময় লাগার কথা নয়। কার্যক্রমের স্বচ্ছতা না থাকলে প্রতিষ্ঠানটির গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের সম্মুখিন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।