পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বহুল আলোচিত দ্রুত বিচার আইন আরও ৫ বছর চালু রাখতে সংসদে বিল তোলা হয়েছে। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খাঁন কামাল ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল- ২০১৯’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে এটি পরীক্ষা করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিগত বিএনপি সরকারের শাসনামলে ২০০২ সালে দ্রুত বিচার আইন সংসদে পাস হয়। তখন এর মেয়াদ ছিল ২ বছর। তখন বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগ এর কঠোর সমালোচনা করেছিল। পরে ৬ বারে মোট ১৫ বছর আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সবশেষ ২০১৪ সালে ৫ বছর বাড়ানো হয়। গত ৯ এপ্রিল মাসে এই মেয়াদ শেষ হয়েছে।
বিদ্যমান আইনে বলা হয়েছে, এই আইন আগামী ১৭ বছর পর্যন্ত চলবে। এখন ১৭-এর স্থলে সংশোধন করে ২২ বসানো হচ্ছে। ২০০২ সাল থেকে ২২ বছর হয় ২০২৪ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ আইনটি পাস হলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
আইনটি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিল চাঁদাবাজি, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতি সাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও সন্ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিচারের জন্য এ আইন। বাস্তবে এ আইন থাকার পরও দরপত্র নিয়ে প্রায়ই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘাষ-সংঘর্ষ ঘটছে। তবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং তাদের মামলার ক্ষেত্রে অধিক ব্যবহৃত হয়।
এ আইনে দোষী প্রমাণিত হলে ২ থেকে ৫ বছর সশ্রম জেল ও জরিমানা হতে পারে। প্রতি জেলায় গঠিত এক বা একাধিক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ আইনে দায়ের মামলার বিচার চলে।
উল্লেখ দ্রুত বিচার আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যায়। স##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।