পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে-দুই তৃতীয়াংশ লোক মনে করেন বাজেট ঘোষণার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ে। পাঁচ ভাগের এক ভাগ মনে করেন বাজেটের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব জনজীবনে পড়ে না। আর, ১৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানেনই না-বাজেট কী !
দেশের দরিদ্র ও অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর জাতীয় বাজেট কী ধরনের প্রভাব ফেলে এবং এতে কী ধরনের ন্যূনতম পরিবর্তন আনা হলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে-সে বিষয়ে ব্র্যাক, গবেষণা সংস্থা আইসোশ্যাল ও উন্নয়ন সমন্বয় সম্মিলিতভাবে একটি গবেষণা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই গবেষণার অংশ হিসেবে পরিচালিত একটি জরিপের ফলাফল জানাতে গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গবেষণার অংশ হিসাবে সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো সূচককে সমন্বিত করে একটি নিবিড় ডাটা মডেল তৈরির কাজ চলছে। এই মডেলের মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর বাজেটের সামগ্রিক প্রভাব সম্পর্কে ধারাবাহিক ও নিবিড় সমীক্ষা করা সম্ভব হবে। এই গবেষণা ২০১৯ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলবে।
তিনটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে। উদ্দেশ্যগুলো হচ্ছে-প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে আসতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তসমূহে কী ধরনের পরিবর্তন আনা প্রয়োজন তা নিরূপণ করা; জাতির অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে সুসমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, কৌশল, পদ্ধতি ও কার্যক্রমে বিদ্যমান সমস্যা ও অন্তরায়গুলোকে চিহ্নিত করা এবং ২০১৯ সাল থেকে ২০২৫ এই সাত বছরব্যাপী বিস্তৃত ডাটা মডেলটিকে আরো সুষ্ঠু ও নিখুঁত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা।
গবেষকরা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সব সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক এবং নীতিগত পদক্ষেপকে আমলে নিয়ে ডাটা মডেলটির তাত্তি¡ক ভিত্তি তৈরি করা হয়েছে। পরিবার পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা ও অর্থনৈতিক ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এসব সূচক ও নীতিগত পদক্ষেপ কী ধরনের প্রভাব বিস্তার করে তার নিবিড় পর্যবেক্ষণ হচ্ছে এই গবেষণাকর্মের অন্যতম প্রধান কাজের ক্ষেত্র। ফলে, এই ডাটা-মডেলটির প্রধানতম লক্ষ্য জাতীয় অর্থনীতি ও পারিবারিক অর্থনীতির মধ্যেকার জটিল সম্পর্ককে একটি যথাসম্ভব বিশদ ও বুদ্ধিগ্রাহ্য কাঠামোর মাধ্যমে উপস্থাপন করা।
সংবাদ সম্মেলনে একটি প্যানেল আলোচনায় যোগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আতিউর রহমান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ, আইসোশ্যাল-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. অনন্য রায়হান ও ব্র্যাকের পরিচালক কেএএম মোরশেদ।
ড. আতিউর বলেন, গার্মেন্টস কারখানার একজন শ্রমিক মাঝবয়সে গেলেই তার চাকরি হারাতে পারেন। তখন শূণ্য হাতে বাড়ি ফিরে তিনি নিজ পরিবারেও আগের মর্যাদা পাবেন না। তাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই একটি সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা গেলে সব শ্রেণির আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। জরিপে বেশিরভাগ লোকই মতপ্রকাশ করেছেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও তরুণদের কর্মসংস্থান খাতে সরকারি উদ্যোগ ও ভর্তুকি বাড়ানোর জন্য।
ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ধনীর তুলনায় গরিবের উন্নতি হচ্ছে খুবই ধীরগতিতে, তাই বৈষম্য বাড়ছে। এটা কমিয়ে আনার কৌশল উদ্ভাবন করে তা বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে।
কেএএম মোরশেদ বলেন, বরাদ্দ বাড়ানো উচিৎ এ কথা ঠিক। কিন্তু বাজেটে বিভিন্ন খাতে যতটুকুই বরাদ্দ হয়েছে, তা যথাযথভাবে ব্যয় হচ্ছে কি না, সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধা সঠিক লোকজনের হাতে পৌঁছাচ্ছে কি নাএর সঠিক তদারকিও প্রয়োজন।
ডা. অনন্য রায়হান বলেন, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বরাদ্দেব অঙ্ক এবং সুবিধাভোগীর আওতা বৃদ্ধি সরকারের সদিচ্ছার পরিচায়ক। তবে অপচয় রেরাধ করে টার্গেট গ্রæপের কাছে এসব যথাসমযে পৌঁছাতে হবে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।