Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদক রুখতে চাই সামাজিক আন্দোলন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বর্তমানে মাদক মহামারি আকার ধারণ করেছে। এটিকে নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার বিকল্প নেই। পাশাপাশি যার যার অবস্থান থেকে দেশপ্রেমকে পুঁজি করে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ এন্টি ড্রাগ ফেডারেশন আয়োজিত মাদক বিষয়ক এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাদকের ছোবলে দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যার মধ্যে বেশির ভাগই যুব সমাজ। তাই মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একইসঙ্গে নিজ নিজ ঘর মাদকমুক্ত রাখতে হবে। তবেই মাদকের কালো ছাঁয়া থেকে দেশকে মুক্ত রাখা যাবে। মাদক নিয়ন্ত্রণে অধিদপ্তর ৩ ধরণের কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, মাদকের সাপ্লাই রোধ, চাহিদা কমানো ও সচেতনতা বৃদ্ধির প্রতি অধিক জোড় দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের অংশ হিসেবে ২০১৮ সালেও ১ লাখ ১৯ হাজার মাদক মামলায় ১ লাখ ৬৮ হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি সচেতনতার অংশ হিসাবে ৩৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ফেস্টুন টানানো হয়েছে।

দেশের মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলো নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক রয়েছে জানিয়ে মাদক ডিজি বলেন, বিদেশে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নেয়ার পর ৮০ শতাংশ মাদকসেবী ভালো হয়ে ফিরে আসে। কিন্তু আমাদের দেশে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। যার ফলে সঠিকভাবে পুনর্বাসন হচ্ছে না। এতে রোগীদের পুনর্বাসন হতে অনেক বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। সেমিনারে মানস’র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।


রাজউকের সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বিশেষ সংবাদদাতা : বনানী এফ.আর টাওয়ার নির্মাণে নকশা জালিয়াতির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার সংস্থার উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন। মামলায় রূপায়ন গ্রæপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক দুই চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম, একেএম হারুন এবং ভবন মালিক এসএমএইচ আই ফারুককেও আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারের ১৯ তলা থেকে ২৩ তলা নির্মাণ, বন্ধক রাখা এবং বিক্রির অভিযোগে দন্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ৭টি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ সালের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, রাজউকের তৎকালিন অথরাইজড অফিসার সৈয়দ মকবুল আহমেদ, কাশেম ড্রাইসেল ব্যাটারির ও এফআর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভির-উল-ইসলাম, রাজউকের তৎকালিন সদস্য মো. রেজাউল করিম তরফদার, তৎকালিন পরিচালক মো. শামসুল আলম, তত্ত¡াবধায়ক মো. মোফাজ্জল হোসেন, সহকারি পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলম, সাবেক ইমারত পরিদর্শক মো. মাহবুব হোসেন সরকার, মো. আওরঙ্গজেব সিদ্দিকি, সহকারি অথরাইজড অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক তত্ত¡াবধায়ক জাহানারা বেগম, সহকারি পরিচালক মেহেদউজ্জামান, নিম্নমান সহকারি মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা, অফিস সহকারি মো. এনামুল হক, বিসিএসআইআরের সদস্য (অর্থ) মুহাম্মদ শওকত আলী, সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবদুল্লাহ আল বাকি, গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ নাজমুল হুদা এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামছুর রহমান।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সৈয়দ মোহাম্মদ ইমাম ফারুক হোসেন ১৯৯৬ সালে নিজ মালিকানাধীন ১০ কাঠা জমির ওপর ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য রাজউকে আবেদন করেন। প্রথম ১৫ তলার অনুমোদন পেলেও পরবর্তীতে রাজউকের সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশে অবৈধভাবে ১৮ তলা ভবন নির্মাণ করেন। কিন্তু ২০০৫ সালে ১৮ তলার ওপর ভবনের মালিক ফারুক হোসেন ও রূপায়ন গ্রæপ সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ২৩ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করেন। ২০০৭ সালে বিষয়টি তদন্ত করে অনুমোদিত নকশায় অতিরিক্ত পাঁচ তলা নির্মাণের প্রমাণ পেয়েও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘুষ নিয়ে অবৈধভাবে নির্মিত অংশ বিক্রির অনুমোদন দিলে কাশেম ড্রাইসেলের মালিক তাসভির-উল-ইসলাম সেটি কেনেন।
উল্লেখ্য, চলতিবছর ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। এতে অন্তত: ২৭ জন মারা যান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ